পানাহারের পর মেহমানের উচিত, মেযবানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা এবং তার জন্য দু‘আ করা। যেমনঃ

ক)

اَللّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِيْمَا رَزَقْتَهُمْ وَاغْفِرْ لَهُمْ وَارْحَمْهُمْ

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা বা-রিক লাহুম ফীমা রাযাক্বতাহুম অগফির লাহুম অরহামহুম।

অর্থঃ হে আল্লাহ! ওদের তুমি যা দান করেছ তাতে ওদের জন্য বরকত দান কর। ওদেরকে ক্ষমা করে দাও এবং ওদের প্রতি রহম কর।[1]

খ)

أَكَلَ طَعَامَكُمْ الأَبْرَارُ وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلاَئِكَةُ وَأَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُوْنَ

উচ্চারণ- আকালা ত্বাআ-মাকুমুল আবরা-র, অস্বাল্লাত আলাইকুমুল মালা-ইকাহ, অ আফত্বারা ইনদাকুমুস্ব স্বা-য়িমূন।

অর্থঃ সজ্জনরা আপনাদের খাবার খাক, ফিরিশ্তাবর্গ আপনাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং আপনাদের নিকট রোযাদাররা ইফতার করুক।[2] অপরের নিকট পান করার পর দু‘আ ঃ

اَللّهُمَّ أَطْعِمْ مَنْ أَطْعَمَنِيْ وَاسْقِ مَنْ سَقَانِيْ

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা আত্বইম মান আত্বআমানী অসক্বি মান সাক্বা-নী।

অর্থঃ হে আল্লাহ! তাকে তুমি খাওয়াও যে আমাকে খাওয়াল এবং তাকে পান করাও যে আমাকে পান করাল।[3]

কুটুম বা মেযবানের নিকট রোযা ইফতার করলে বলতে হয়ঃ

أَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُوْنَ، وَأَكَلَ طَعَامَكُمُ الأَبْرَارُ وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلاَئِكَةُ

উচ্চারণ- আফত্বারা ইনদাকুমুস্ব স্বা-য়িমূন, অ আকালা ত্বাআ-মাকুমুল আবরা-র, অস্বাল্লাত আলাইকুমুল মালা-ইকাহ।

অর্থঃ আপনাদের নিকট রোযাদাররা ইফতার করুক, সজ্জনরা আপনাদের খাবার খাক এবং ফিরিশ্তাবর্গ আপনাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন।[4]

[1]. আহমাদ ১৭২২০, মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/২০৪২, আবূ দাঊদ ৩৭২৯, তিরমিযী হা/৩৫৭৬, দারেমী ২০২২

[2]. মুঃ আহমাদ ৩/১৩৮, বাইহাক্বী ৭/২৮৭

[3]. মুসনাদে আহমাদ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/ ২৩৩০০, মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/২০৫৫, তিরমিযী হা/২৭১৯

[4]. মুসনাদে আহমাদ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/ ১১৭৬৭, আবু দাঊদ ৩৮৫৪, দারেমী আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/ ১৭৭২