বাড়ি থেকে অন্য জায়গায় গিয়ে কোন দ্বীনী ভাইকে দেখা করতে যাওয়ার বড় গুরুত্ব রয়েছে ইসলামে। এমন যিয়ারতের সওয়াবও রয়েছে বড়। অবশ্য সে যিয়ারত কিন্তু কোন স্বার্থের খাতিরে হলে হবে না; বরং তা একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
এমনিতেই এক মু’মিন অপর মুমিনের ভাই। একজন অপর জনের জন্য আয়না স্বরূপ। মুসলিম সমাজ একটি দেহের মত। যার একটি অঙ্গ ব্যথিত হলে সারা দেহ সেই ব্যথা অনুভব করে। অতএব আল্লাহর ওয়াস্তে তাকে দেখা করতে যাওয়া, দ্বীনী কোন বিষয় জানার জন্য, পরস্পরকে হক ও সবরের অসিয়ত ও নসীহত করার জন্য, আল্লাহর দ্বীনকে সাহায্য করার ব্যাপারে সহযোগিতার পথ খোঁজার জন্য যিয়ারত করতে যাওয়ার গুরুত্ব অবশ্যই আছে।
আল্লাহর রাসুল (ﷺ) বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি কোন রোগীকে সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞাসাবাদ করে অথবা তার কোন লিল্লাহী (আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ভ্রাতৃত্বস্থাপন করে সেই) ভাইকে সাক্ষাৎ করে, সে ব্যক্তিকে এক (গায়বী) আহবানকারী আহবান করে বলে, ‘সুখী হও তুমি, সুখকর হোক তোমার ঐ যাত্রা (সাক্ষাতের জন্য যাওয়া)। আর তোমার স্থান হোক জান্নাতের প্রাসাদে।’’[1]
রাসুল (ﷺ) বলেন, ‘‘এক ব্যক্তি অন্য এক বস্তিতে তার এক (দ্বীনী) ভায়ের সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে বের হল। আল্লাহ তাআলা তার গমন-পথে একজন অপেক্ষমাণ ফিরিশ্তা বসিয়ে দিলেন। (লোকটি সেখানে পৌঁছলে) ফিরিশ্তা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি কোথায় যাওয়ার ইচ্ছা রাখ?’ সে বলল, ‘ঐ গ্রামে আমার এক ভাই আছে, তার সাক্ষাতে যাওয়ার ইচ্ছা রাখি।’ ফিরিশ্তা জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তার কাছে তোমার কোন সম্পদ আছে কি; যার দেখাশোনা করার জন্য তুমি যাচ্ছ?’ সে বলল, ‘না, আমি তাকে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ভালোবাসি, তাই যাচ্ছি।’ ফিরিশ্তা বললেন, ‘আমি আল্লাহর নিকট হতে তোমার কাছে এই সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রেরিত হয়েছি যে, আল্লাহ তোমাকে অনুরূপ ভালোবাসেন, যেরূপ তুমি তাঁর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তাকে ভালোবাস।’’[2]
তবে লিল্লাহী ভাইকে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার পালনীয় বিভিন্ন আদব রয়েছে; যা নিম্নরূপঃ
[2]. মুসলিম