আনাস (রাঃ) বলেন, ‘রাসুল (ﷺ)-এর সাহাবাগণ যখন আপোসে সাক্ষাৎ করতেন, তখন মুসাফাহাহ করতেন এবং যখন সফর থেকে ফিরে আসতেন, তখন মুআনাকা করতেন।’[1]
ইমাম শা’বী বলেন, ‘রাসুল (ﷺ)-এর সাহাবাগণ যখন আপোসে সাক্ষাৎ করতেন, তখন মুসাফাহাহ করতেন এবং যখন সফর থেকে ফিরে আসতেন, তখন একে অপরের সাথে মুআনাকা করতেন।’[2]
জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমার কাছে খবর এল যে, এক ব্যক্তি আল্লাহর রসূল (ﷺ) এর নিকট থেকে একটি হাদীস শুনেছে। সুতরাং আমি একটি উট ক্রয় করে সফরের সামান বেঁধে এক মাস যাবৎ রাস্তা চলে তার নিকট শাম দেশে পৌঁছলাম! দেখলাম সে লোক ছিল আব্দুল্লাহ বিন উনাইস। আমি দারোয়ানকে বললাম, ওঁকে বল, দরজায় জাবের অপেক্ষা করছে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ইবনে আব্দুল্লাহ? আমি বললাম, হ্যাঁ। অতঃপর তিনি পরনের কাপড় পায়ে দলতে দলতেই বের হয়ে এসে আমার সাথে মুআনাকা করলেন, আমিও তাঁর সাথে মুআনাকা করলাম।[3]
রাসুল (ﷺ) ইবনে তাইয়িহানের কাছে এলে ইবনে তাইয়িহান মহানবী (ﷺ) এর সাথে মুআনাকা করেছিলেন।[4]
অবশ্য এই মুআনাকা সফর থেকে ফিরে এসে না হলেও অতিরিক্ত সাক্ষাৎ-আকাঙক্ষার কারণে করেছিলেন। তাছাড়া প্রত্যেক সাক্ষাতের সময় মুআনাকা করতে খোদ আল্লাহর রসূল (ﷺ) নিষেধ করেছেন।[5]
পূর্বেই বলা হয়েছে যে, ঈদের নামাযের পর (খাস ঈদের জন্য) মুসাফাহাহ ও মুআনাকা বিদআত।[6]
[2]. বাইহাক্বী ৭/১০০
[3]. আল-আদাবুল মুফরাদ ৯৭০, আহমাদ ৩/৪৯৫
[4]. মুখতাসার শামায়েল ১১৩
[5]. সিলসিলাহ সহীহাহ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/১৬০, মুখতাসার শামায়েল ৭৯পৃঃ, টীকা
[6]. তুহফাতুল আহওয়াযী ৭/৪২৭, আউনুল মাবূদ ১৪/৮২