মুসাফির সফরে বের হলে তাকে বিদায় দিন এবং তার জন্য দু‘আ করুন। তার বিদায়কালে নিম্নের দু‘আ বলুন। (ক)
أَسْتَوْدِعُ اللهَ دِيْنَكَ وَأَمَانَتَكَ وَخَوَاتِيْمَ عَمَلِكَ
উচ্চারণঃ আস্তাউদিউল্লা-হা দীনাকা অআমা-নাতাকা অখাওয়াতীমা আমালিক।
অর্থঃ আমি তোমার দ্বীন, আমানত এবং আমলের শেষ পরিণতিকে আল্লাহর নিকট গচ্ছিত রাখছি।[1]
(খ)
زَوَّدَكَ اللهُ التَّقْوى، وَغَفَرَ ذَنْبَكَ، وَيَسَّرَ لَكَ الْخَيْرَ حَيْثُ مَا كُنْتَ
উচ্চারণঃ যাউওয়াদাকাল্লা-হুত্ তাক্বওয়া অগাফারা যামবাকা অ য়্যাসসারা লাকাল খাইরা হাইসু মা কুন্তা।
অর্থঃ আল্লাহ তোমাকে তাকওয়ার পাথেয় দান করুন, তোমার গোনাহ মাফ করুন এবং যেখানেই থাক, তোমার জন্য কল্যাণকে সহজ করুন।[2]
(গ)
اَللّهُمَّ اطْوِ لَهُ الْبُعْدَ وَهَوِّنْ عَلَيْهِ السَّفَرَ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাত্ববি লাহুল বু’দা অ হাউবিন আলাইহিস সাফার।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি ওর জন্য (সফরের) দূরত্বকে সঙ্কুচিত করে দাও এবং সফরকে সহজ করে দাও।[3] সফরকারীও সেই মুহূর্তে নিজের পরিবারের জন্য দু‘আ করবে এবং বলবে,
أَسْتَوْدِعُكُمُ اللهَ الَّذِيْ لاَ تَضِيْعُ وَدَائِعُهُ
উচ্চারণঃ আস্তাউদিউকুমুল্লা-হাল্লাযী লা তাযবীউ অদা-ইউহ।
অর্থঃ আমি তোমাদেরকে সেই আল্লাহর নিকট আমানত রাখছি যাঁর আমানত নষ্ট হয় না।[4]
[2]. সহীহ তিরমিযী ৩/১৫৫
[3]. তিরমিযী আল মাদানী প্রকাশনী হা/৩৪৪৫
[4]. আহমাদ ২/৪০৩, সহীহ ইবনে মাজাহ ২/১৩৩