ইসলামী জীবন-ধারা সফরের আদব আবদুল হামীদ ফাইযী ১ টি
মহিলা হলে দূর সফরে একাকিনী যেতে পারে না

যেহেতু নারীর দুশমন সে নিজেই। তার যৌবন তার শত্রু ডেকে আনে। তাই একা সফরে তার বিপদের আশঙ্কা খুব বেশী। আর সে জন্যই সঙ্গে স্বামী অথবা কোন এগানা আত্মীয় ছাড়া সফরে বের হওয়া নিষিদ্ধ।

রাসুল (ﷺ) বলেন, ‘‘মাহরাম ছাড়া কোন মহিলা যেন একাকিনী সফর না করে।’’[1]

তিনি আরো বলেন, ‘‘আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে এমন কোন মহিলার জন্য বৈধ নয় যে, সে তার পিতা, পুত্র, স্বামী, ভাই অথবা কোন এগানা পুরুষ ছাড়া তিনদিন বা তার বেশী পথ সফর করে।’’[2]

এমনকি ইবাদতের সফর, হজ্জ ও উমরার সফর, জিহাদ বা দাওয়াত ও তবলীগের সফরেও একাকিনী কোন এগানা পুরুষ অথবা স্বামী ছাড়া যেতে পারে না।

এমনকি পেস্ননে এক-আধ ঘন্টার সফর হলেও না। কারণ, এয়ারপোর্টে একাকিনী ঢুকিয়ে দেওয়ার পর তাকে কত পুরুষের সম্মুখীন হতে হয়। চেহারা খুলে দেখাতে হয়। তাছাড়া পথিমধ্যে যদি পেস্নন গন্তব্যস্থলে না পৌঁছে অন্য কোন এয়ারপোর্টে নামতে বাধ্য হয়, তাহলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? আপনার স্ত্রী স্মার্ট্ হলেও কেবল বিশ্বাসের উপর ভরসা করে হাদীস অমান্য করা তো উচিত নয় ভাইজান। তবে যদি বলেন, এমন সফর ছাড়া আমি নিরুপায়, তাহলে তার হিসাব আল্লাহর কাছে।

[1]. বুখারী তাওহীদ পাবঃ হা/ ১৭৬৩, মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/১৩৪১

[2]. আহমাদ, মুসলিম, আবূ দাঊদ হা/১৭২৬, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, সহীহুল জা’মে হা/৭৬৫০