অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য নিম্নে কতিপয় ক্বিরাআতের বিদআত উল্লেখ করা গেলঃ

(১) কানে আঙ্গুল দিয়ে উচ্চশব্দে গলার রগ ফুলিয়ে ক্বিরাআত করা। অবশ্য কানে আঙ্গুল দিয়ে মিষ্টি সুরে ক্বিরাআত পড়াও বিদআত।

(২) খুব তাড়াতাড়ি হরফ ও হরকত চুরি করে ক্বিরাআত করা। এ ধরনের ক্বিরাআত সাধারণতঃ খতম বা শবীনা পাঠে হয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে, মৃত ব্যক্তির নামে কুরআন খতম এবং শবীনা পাঠও বিদআত।

(৩) একই জামাআতে ভাগাভাগি করে পারা নিয়ে কুরআন খতম করা।

(৪) বিরল (শায) ক্বিরাআত দ্বারা কুরআন তিলাওয়াত করা।

(৫) নামাযে বা মহফিলে একাধিক ক্বিরাআত দিয়ে কুরআন পড়া।

(৬) নির্দিষ্ট কোন সূরা পড়ে মুনাজাত করা। যেমন প্রত্যহ ফজর নামাযের পর সূরা ইয়াসীন পড়ে মুনাজাত করা।

(৭) মুর্দা বা জানাযার সামনে কুরআন পড়া।

(৮) কবরের পাশে কুরআন পড়া।

(৯) কুরআন পাঠ করে ভিক্ষা করা।

(১০) সূরা যবুহা থেকে সূরা নাস পর্যন্ত প্রত্যেক সূরার শেষে তকবীর পাঠ করা।

(১১) ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্টার্জিত শব্দে কোন ক্বারীর সুরের অনুকরণ করে কুরআন পড়া।

(১২) কুরআন পড়ার সময় দোলা বা দুলে দুলে কুরআন পড়া। এটি আসলে ইয়াহুদীদের অভ্যাস।