দাঁড়িয়ে থাকা ও চলা অবস্থায়, শুয়ে থাকা বা সওয়ারীতে সওয়ার অবস্থায় কুরআন পাঠ বৈধ
যেহেতু মহান আল্লাহ চিন্তাশীল বান্দাদের প্রশংসা করে বলেন, ‘‘তারা দাঁড়িয়ে থাকা, বসে থাকা এবং শুয়ে থাকা অবস্থায় আল্লাহর জিকির করে।’’[1] সওয়ারীর পিঠে চড়ে আয়াত পড়ার নির্দেশ রয়েছে কুরআনে। (সূরা যুখরুফ ১৩ আয়াত) মক্কা বিজয়ের দিন তিনি সওয়ারী উটের পিঠে চড়ে সূরা ফাত্হ পাঠ করেছেন।[2]
যেমন কোন অপবিত্র ব্যক্তির পাশে বসে, তার দেহে দেহ লাগিয়ে অথবা তার কোলে মাথা রেখে কুরআন তিলাওয়াত করা দোষাবহ নয়। কেননা, রাসুল (ﷺ) মা আয়েশার কোলে মাথা রেখে কুরআন পড়েছেন। অথচ মা আয়েশা তখন মাসিক অবস্থায় থাকতেন।[3] আর এখান থেকে এ কথাও বুঝা যায় যে, কোন অপবিত্র জায়গার ধারে-পাশে (আড়ালে) কুরআন পড়া যায়।[4]
[1]. সূরা আলে ইমরান-৩:১৯১
[2]. বুখারী তাওহীদ পাবঃ হা/ ৫০৩৪, মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/৭৯৪
[3]. বুখারী তাওহীদ পাবঃ হা/ ২৯৭, মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/৩০১
[4]. ফাতহুল বারী ১/৪৭৯
[2]. বুখারী তাওহীদ পাবঃ হা/ ৫০৩৪, মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/৭৯৪
[3]. বুখারী তাওহীদ পাবঃ হা/ ২৯৭, মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/৩০১
[4]. ফাতহুল বারী ১/৪৭৯