পা ও তার অলঙ্কার
মহিলাদের পায়ের অলঙ্কার রসূল (ﷺ) এর যুগেও প্রচলিত ছিল। বর্তমানেও পায়ের মল, নুপুর বা তোড়া যদি বাজনাহীন হয় এবং বেগানা পুরুষ থেকে গুপ্ত রাখা হয়, তাহলে তা বৈধ।
মহিলার পায়ে ঘুঙুর ও বাজনাবিশিষ্ট নুপুর স্বামী ও এগানা ছাড়া অন্যের কাছে প্রকাশ পাওয়া হারাম। যেহেতু প্রত্যেক বাজনার সাথে শয়তান থাকে। আর সেই শয়তান পর-পুরুষের মন ও দৃষ্টিকে ঐ ভাবুনী মহিলার দিকে আকৃষ্ট করে। সে মহিলা হয়তো বা নিজে পর-পুরুষের দিকে আকৃষ্ট হয় এবং পর-পুরুষকেও নিজের দিকে আকৃষ্ট করে। তাইতো সৃষ্টিকর্তা মহিলাদেরকে সতর্ক করে বলেন,
وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ
অর্থাৎ, তারা যেন তাদের গোপন আভরণ প্রকাশের উদ্দেশ্যে সজোরে পদক্ষেপ না করে----।[1]
অনেকের মতে মহিলাদের জন্য বেগানার সামনে পায়ের পাতা ঢাকাও ওয়াজেব। আর তার জন্য পা-মোজা ব্যবহার করা কর্তব্য।
[1]. সূরা নূর-২৪:৩১