মুসলিম মানে একজন সুসভ্য মানুষ। লেবাসে-পোশাকে, দেহের বাহ্যিক ও আভ্যন্তরিক সৌন্দর্যে সে হবে সুদর্শন। তার নিকট থেকে সুগন্ধ পাওয়া যাবে। তা না পাওয়া গেলেও অন্ততপক্ষে কোন প্রকার দুর্গন্ধ পাওয়া যাবে না তার নিকট থেকে।
কিন্তু মুসলিমের আকৃতি ও প্রকৃতি হবে কার মত? তার আকারে-প্রকারে নমুনা কে? নিঃসন্দেহে এ পৃথিবীর সব চাইতে বড় সভ্য মানুষ তিনিই, যিনি তাঁর সব-আচরণে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে সবার চেয়ে প্রিয় ছিলেন। আর তিনিই হবেন প্রত্যেক মুসলিমের সকল বিষয়ের নমুনা ও আদর্শ। মহান আল্লাহ বলেন,
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِمَنْ كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا
অর্থাৎ, তোমাদের জন্য রসূলুল্লাহর (চরিত্রের) মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে, (তোমাদের মধ্যে) যে আল্লাহ ও পরকালে আশা (বিশ্বাস বা ভয়) রাখে এবং অধিকাধিক আল্লাহকে স্মরণ করে।[1]
মহানবী (ﷺ) বলেন, আল্লাহ বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি আমার অলীর বিরুদ্ধে শত্রুতা পোষণ করবে, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করব। বান্দা যা কিছু দিয়ে আমার নৈকট্য লাভ করে থাকে তার মধ্যে আমার নিকট প্রিয়তম হল সেই ইবাদত, যা আমি তার উপর ফরয করেছি। আর সে নফল ইবাদত দ্বারা আমার নৈকট্য অর্জন করতে থাকে। পরিশেষে আমি তাকে ভালোবাসি। অতঃপর আমি তার শোনার কান হয়ে যাই, তার দেখার চোখ হয়ে যাই, তার ধরার হাত হয়ে যাই, তার চলার পা হয়ে যাই! সে আমার কাছে কিছু চাইলে আমি অবশ্যই তাকে তা দান করি। সে আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করলে আমি অবশ্যই তাকে আশ্রয় দিয়ে থাকি। আর আমি যে কাজ করি তাতে কোন দ্বিধা করি না-যতটা দ্বিধা করি এজন মুমিনের জীবন সম্পর্কে; কারণ, সে মরণকে অপছন্দ করে। আর আমি তার (বেঁচে থেকে) কষ্ট পাওয়াকে অপছন্দ করি।’’[2]
বুঝতেই তো পারছেন, আল্লাহর সেই প্রিয় বান্দা হতে হলে সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তাঁরই ইচ্ছামত হতে হবে। মাথার চুল থেকে নিয়ে পায়ের নখ পর্যন্ত সর্বাঙ্গ শরীর হবে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের দেওয়া বিধান ও নির্দেশ অনুযায়ী। আপনার আকার-আকৃতিতে অনুকরণ করতে হবে নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) এর।
[2]. বুখারী তাওহীদ পাবঃ হা/ ৬৫০২