Terrorism বা সন্ত্রাসকে বিভিন্নভাবে শ্রেণীবিন্যাস করার চেষ্টা করা হয়েছে। অনেকে সন্ত্রাসকে তিনভাগে ভাগ করেছেন:
(1) Revolutionary Terrorism
(2) Subrevolutionary Terrorism
(3) Establishment Terrorism
প্রথম প্রকার (Revolutionary Terrorism) বা বৈপবিক সন্ত্রাস অর্থ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থার পূর্ণ বিলুপ্তি ঘটিয়ে সেখানে অন্য একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। ইটালীর রেড ব্রিগেড, জার্মানীর রেড আর্মি (বাদের মেইনহফ), বাস্ক বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ (ইটিএ), পেরুর শাইনিং পাথ ইত্যাদি অগণিত উদাহরণ রয়েছে এ জাতীয় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের। রাজনৈতিক ব্যবস্থার পূর্ণ বিলূপ্তি না ঘটিয়ে সহিংসতার মাধ্যমে রাজনৈতিক ক্ষমাসীনদের সরিয়ে আংশিক পরিবর্তনের জন্য যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করা হয় তাকে (Subrevolutionary Terrorism) বিপ্লবেতর সন্ত্রাস বলা হয়। অনেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের কর্মকান্ডকে এর উদাহরণ হিসেবে পেশ করেন। আয়ারল্যান্ডের আই. আর. এ.-কেও এ পর্যায়ে ফেলা যায়।
রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বা রাষ্ট্র পরিচালিত সন্ত্রাসকে (Establishment terrorism) প্রাতিষ্ঠানিক সন্ত্রাস বা (state or statesponsored terrorism) রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বলা হয়। অনেক সময় সরকার বা সরকারের কোনো সংস্থা তারই নাগরিকদের, অথবা সরকারের মধ্যকার কিছু মানুষদের বিরুদ্ধে অথবা অন্য দেশের সরকার বা নাগরিকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। এ জাতীয় সন্ত্রাস খুবই ব্যাপক, কিন্তু চিহ্নিত করা কঠিন। কারণ কোনো রাষ্ট্রই সাধারণত নিজের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বা এ ধরনের কর্মকান্ডে তার সমর্থন প্রকাশ করে না বা স্বীকার করে না। শীতল যুদ্ধের সময়ে সোভিয়েট ইউনিয়ন ও তার সমর্থক দেশগুলি বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ বা সহযোগিতা করেছে। অনুরূপভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এঙ্গোলার (UNITA) বিদ্রোহীদের সমর্থন ও তাদের সাথে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অংশগ্রহণসহ সারা বিশ্বে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ বা সহযোগিতা করেছে এবং করছে।