হজ সফরে সহজ গাইড হজ পরবর্তী একান্ত করনীয় মুহাম্মাদ মোশফিকুর রহমান ১ টি
  • হজ কবুল হওয়া বা না হওয়া মহান আল্লাহ তা‘আলার এখতিয়ারভুক্ত। কিন্তু বান্দা যখন হজ করবে তখন সে দৃঢ়তা ও পূর্ণ বিশ্বাস এর সাথে হজ পালন করবে এবং আশা রাখবে ইন-শাআল্লাহ আল্লাহ তা‘আলা তার হজ কবুল করবেন। কখনই হতাশা বা শংকাযুক্ত হয়ে হজ পালন করা যাবে না।
  • অবশ্য হজ যদি আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে কবুল হয় তবে বাহ্যিকভাবে বান্দার মধ্যে কিছু লক্ষণ বা আলামত মোট কথা কিছু ভালো পরিবর্তন প্রতীয়মান হয়। যে বান্দা ইবাদত ও আন্তরিক আমল দ্বারা আল্লাহকে খুশি করার জন্য সচেষ্ট হবে আল্লাহ তা‘আলা সেই বান্দাকে হিদায়াত দান করবেন; এবং আল্লাহই তার অন্তরে পরিবর্তন এনে দিবেন। নিজ থেকে মানুষ দেখানো পরিবর্তন আনা অবশ্য মোটেই বেশিদিন টেকসই হয় না। আর যে হজের আগে যেমন ছিল হজেরপরেও তেমনি থাকলো, কোনো ভালো পরিবর্তন এলো না, তাহলে সেটি একটি চিন্তার বিষয়। অবশ্য কারো সম্পর্কে কোনো ধারনা পোষণ করাও ঠিক নয়। সব কিছু আল্লাহর হাতে এবং তিনিই ভালো জানেন।
  • হজের পর ঈমান ও আমলে দৃঢ়তা সৃষ্টি হওয়া ভালো লক্ষণ। পার্থিবতা ও দুনিয়াবী বিষয়ে অনীহা ও পরকালের প্রতি প্রবল আগ্রহ-লোভ সৃষ্টি হওয়া।
  • হজ পূর্ব জীবনে যেসব পাপ ও অন্যায় অভ্যস্ততা ছিল সেগুলো থেকে সম্পূর্ণভাবে বিমুক্ত জীবনযাপন করা। অন্তরে কোমলতা আসা।
  • হজ সম্পাদনের পর কৃত আমলকে অল্প মনে করা। আমল করার বিষয়ে প্রতিযোগিতা করা। লোক দেখানো ভাব, অহংকার ও বড়ত্বোবোধ থেকে বেঁচে থাকা। ইবাদত পালনে উৎসাহ ও চাঞ্চল্য বৃদ্ধি পাওয়া। বেশি বেশি দান সাদকা করা।
  • কথায় ও কাজে আল্লাহর ওপর বেশি ভরসা রাখা। বেশি বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। বেশি বেশি দো‘আ ও যিকির করা।
  • দ্বীনের বিষয়ে জ্ঞান আহরোনের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়া। খোলা মন নিয়ে ও যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে সত্যকে গ্রহণ করার মনমানসিকতা সৃষ্টি হওয়া ও নিজেকে শুদ্ধ করা।
  • আল্লাহর দ্বীনকে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় জীবনের সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সচেষ্ট হওয়া।

‘‘হে আল্লাহ! তুমি আমাদের হজকে কবুল ও মঞ্জুর করে নাও”।-আমিন।