মদীনায় দর্শনীয় স্থান
- আপনার ট্রাভেল এজেন্সি মদীনায় একদিনের যিয়ারাহ ট্যুরের জন্য বাসের ব্যবস্থা করতে পারেন এবং আপনাদের সবাইকে একত্রে মদীনার নিকটস্থ ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে নিয়ে যেতে পারে। আপনি এ যিয়ারাহ ট্যুর উপভোগ করবেন। মদীনার চারপাশ ঘুরে দেখার এটাই সুযোগ। একটি বিষয় লক্ষ্য করবেন মদীনায় অসংখ্য খেজুর বাগান রয়েছে।
- কিছু যিয়ারাতের স্থান খুব কাছেই, ইচ্ছে করলে পায়ে হেঁটেই সেসব স্থানে যেতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে পরামর্শ হলো একা কোথাও যাবেন না এবং কয়েকদিন মদীনায় থাকার পর যিয়ারাতের স্থানগুলো ভ্রমণ করবেন।
- বাকীউল গারকাদ কবরস্থান, মসজিদে আবু বকর, মসজিদে উমার ফারুক, মসজিদে আলী, গামামা মসজিদ ও বিলাল মসজিদে পায়ে হেঁটেই যেতে পারবেন।
ফজরের সালাতের পর লক্ষ্য করবেন কিছু মাইক্রোবাস অথবা প্রাইভেট কার ড্রাইভার ‘যিয়ারাহ, যিয়ারাহ’ বলে ডাকবে। গাড়ি ভাড়া করে আপনি কিছু স্থান ঘুরে দেখতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় ছোট ছোট দল করে ঘুরতে বের হওয়া, কারণ ড্রাইভার প্রতি ব্যক্তির জন্য ১০/২০ সৌদি রিয়াল ভাড়া দাবি করে থাকে। এসব স্থান ভ্রমণ করার সময় অবশ্যই আপনার পরিচয়পত্র ও হোটেলের ঠিকানা সঙ্গে রাখুন। কারণ, অনেক সময় পুলিশ আপনার মদীনার পরিচয় পত্র চেক করতে পারে।
- বাকিউল গরকাদ কবরস্থান: সকালে ও বিকালে যিয়ারতের জন্য খোলা থাকে।
- কুবা মসজিদ: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিজ হাতে স্থাপিত মসজিদ। বাসায় অযু করে এ মসজিদে দু’রাকাত নফল সালাত আদায় করলে ১টি উমরাহ সমান নেকি পাওয়া যায়।
- উহুদ পাহাড়: দু’মাথা পাহাড়। ৩য় হিজরীতে উহুদের যুদ্ধে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চাচা হামযা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুসহ ৭০ জন সাহাবী শহীদ হন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাঁত ভেঙে যায়।
- মসজিদে কিবলাতাইন: কিবলাতাইন মানে দু’টি কিবলা। সালাতরত অবস্থায় আল্লাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কিবলা পরিবর্তন করে বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে কা‘বার দিকে মুখ ফিরানোর নির্দেশ দেন। খালিদ ইবন ওয়ালিদ রোডে অবস্থিত।
- জুমু‘আা মসজিদ: মদীনায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১০০ সাহাবী নিয়ে প্রথম জুমু‘আর সালাত যে স্থানে পড়েছিলেন সেখানে এই মসজিদ নির্মিত হয়।
- গামামাহ মসজিদ: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এখানে ঈদের সালাত পড়তেন। একবার তিনি এখানে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার সালাত পড়েছিলেন এবং তখনই বৃষ্টি হয়েছিল। মসজিদে নববীর সাথেই এ মসজিদের অবস্থান।
- বিলাল মসজিদ: কুরবান রোডে অবস্থিত। মসজিদে নববীর খুব কাছে অবস্থিত, খেজুর মার্কেট-এর পাশে। তবেই এটার সাথে বেলাল রাদিয়াল্লাহু আনহুর কোনো সম্পর্ক নেই।
- আবু বকর মসজিদ: এ স্থানে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর বাড়ি ছিল, পরবর্তীতে এখানে মসজিদ নির্মাণ করা হয়। এটি মসজিদে নববী সংলগ্ন।
- উসমান ইবন আফফান মসজিদ: কুরবান রোড এ অবস্থিত।
- উমার ফারুক মসজিদ: গামামাহ মসজিদ এর খুব কাছে অবস্থিত। মসজিদে নববী সংলগ্ন।
- আলী মসজিদ: গামামাহ মসজিদ এর খুব কাছে অবস্থিত। মসজিদে নববীর পশ্চিমে অবস্থিত।
- ইমাম বুখারী মসজিদ: মসজিদে নববীর উত্তরে অবস্থিত।
- সালমান ফারসির কথিত বাগান: মসজিদে নববীর দক্ষিণে অবস্থিত খেজুর বাগান।
- ইজাবা মসজিদ: মসজিদে নববীর পূর্ব উত্তর কোণে অবস্থিত।
- কেন্দ্রীয় খেজুর মার্কেট: মসজিদে নববীর সন্নিকটস্থ বিলাল মসজিদ সংলগ্ন পাইকারী মার্কেট।
- আল শাজারাহ মসজিদ: মদীনা থেকে মক্কা যাওয়ার পথে, ১২ কি.মি. দূরত্বে। যুল হুলাইফাতে অবস্থিত মীকাত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা যাওয়ার পথে এ মসজিদে সালাত আদায় করতেন। এখানেই মাদীনাবাসীদের ইহরাম বাধতে হয়