মুযদালিফা সম্পর্কিত কিছু তথ্য
- হজের অন্যতম কঠিন ও কষ্টকর কাজ শুরু হয় এখান থেকে। সূর্যাস্তের পর আরাফাহ থেকে মুযদালিফার উদ্দেশ্যে বাস ছাড়ে। কিন্তু রাস্তায় ভারী যানজটের কারণে বাস তেমন একটা এগুতে পারে না। অনেক সময় যানজটের কারণে বাসের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়, এতে পরিবহন সঙ্কটে যাত্রীরা বাসের ভেতর দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত ও অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। আপনার এজেন্সিকে পর্যাপ্ত পরিবহণের ব্যবস্থা রাখার জন্য সতর্ক করে দেবেন যাতে সব যাত্রী বাসে আসন পায়, কাউকে যেন দাঁড়িয়ে থাকতে না হয়।
- ভারী যানজটের কারণে অনেকে বাস ছেড়ে দিয়ে হাঁটতে শুরু করেন, কারণ তাদের ধারণা এভাবে যানজটে বসে থাকলে মুযদালিফায় পৌঁছতে পারবেন না বা মুযদালিফায় রাত্রি যাপন করতে পারবেন না। আপনিও যদি এ অবস্থায় পড়েন তবে বাস ছাড়বেন কি ছাড়বেন না এ সিদ্ধান্তে আসা কঠিন। কারণ যদি বাস একবার ছেড়ে দেন তাহলে পায়ে হেঁটেই আপনাকে মিনা অথবা পরবর্তীতে জামরায় পৌঁছতে হতে পারে। এক্ষেত্রে দলনেতা অথবা অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ নিন।
- আরাফা থেকে মুযদালিফার দূরত্ব ৬/৭ কি.মি. হলেও কিছু গাড়ি ফজরের আগে মুযদালিফা পৌঁছাতে পারে না। কিছু লোক মুযদালিফা এসে গেছে ধারণা করে অন্যদের দেখাদেখি মাঝপথে মাগরিব-এশা পড়ে রাত্রি যাপন করে। অবশেষে ফজর বাদ মুযদালিফার সীমানায় এসে সাইনবোর্ড দেখে তাদের ভুল বুঝতে পেরে আক্ষেপ করে। এভাবে হজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়াজিব ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায় অনেক হাজীর।
- মুযদালিফায় কোনো তাবু নেই। আপনার বাস এখানে পৌঁছার পর পার্কিং এলাকায় পার্ক করবে অথবা রাস্তার পাশে রেখে দেবে। আপনি চাইলে বাসের মধ্যে অথবা বাইরে খোলা আকাশের নিচে একটু সমতল ভূমিতে ম্যাট বিছিয়ে শুয়ে ঘুমাতে পারেন। আপনি দেখবেন অনেকে রাস্তার পাশে, কেউ পাহাড়ের ঢালে ঘুমিয়ে আছে। এখানে টয়লেটের সংখ্যা খুবই কম তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
- আপনি এখানে রাতের বেলায় খাবার ও পানি কেনার জন্য দোকান পাবেন না। এ কারণে কিছু খাবার ও পানীয় মজুদ রাখলে ভালো হয়। ফজরের সালাত আদায় করার জন্য প্রয়োজনে মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করে নেবেন।