আরাফায় প্রচলিত ভুলত্রুটি ও বিদ‘আত
- আরাফার সীমানার বাইরে অথবা মসজিদে নামিরার সেই অংশে বসা, যা আরাফার সীমার বাইরে অবস্থিত। এছাড়া তাড়াতাড়ি সূর্যাস্তের পূর্বে মুযদালিফার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া।
- সূর্যাস্তের আগেই আরাফা ত্যাগ করা, যারা এ কাজ করবে তাদের অবশ্যই আবার সূর্যাস্তের আগেই আরাফায় ফিরে আসতে হবে অথবা কাফফারাস্বরূপ একটি (দম) পশু যবেহ করতে হবে।
- আরাফার পাহাড়ে আরোহণ করা, বা পাহাড়ের চূড়ায় আরোহনের জন্য ধাক্কাধাক্কি করা এবং সেখানে পাহাড়ের গায়ে হাত ঘষা ও সিজদা দিয়ে দো‘আ করা।
- দুআ করার সময় জাবালে আরাফা পাহাড়ের দিকে মুখ করে হাত উঠিয়ে দো‘আ করা।
- জাবালে আরাফা পাহাড়ের উপরস্থ ডোমে স্পর্শ করা, যা আদমের ডোম নামে পরিচিত এবং এখানে সালাত পড়া ও ডোম তাওয়াফ করা।
- মসজিদে নামিরাতে খুৎবা শেষ করার আগেই যোহর ও আসরের আযান দেওয়া এবং সালাত পড়া।
- যোহরের সালাতের পর ওয়াজ, দো‘আ ও মিলাদ করে দীর্ঘ সময় পর আসরের সালাত পড়া।
- অনেকের ধারণা জুমু‘আর দিনে আরাফায় দাঁড়ানো ৭২টি হজযাত্রার সমান। এটির কোনো প্রমাণ নেই।
- আরাফায় সন্ধ্যায় আরাফা পাহাড়ের উপর আগুন অথবা মোমবাতি জ্বালানো।
অনেকে দলবদ্ধ হয়ে মিলাদ পড়েন, বিনামূল্যের খাবার অনুসন্ধান করেন এবং ঈদের দিনের মতো কোলাকুলি মুসাফাহ করেন।