হজ সফরে সহজ গাইড উমরাহ মুহাম্মাদ মোশফিকুর রহমান ১ টি
  • অতিরিক্ত টাকা নিয়ে হজে যাবেন না বা সেখানে গিয়ে বেশি কেনা-কাটা করবেন না। যদি পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের জন্য কোনো ছোট উপহার বা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে চান তাহলে তা হজের আগেভাগেই কিনে ফেলবেন। কেননা, হজের সময় যত কাছাকাছি হয় জিনিসপত্রের দাম ততো বেড়ে যায়। হজেরপরেও কিছু দিন দাম বাড়তি যায়, তারপর কমে।
  • মসজিদে হারামের কাছে পাবেন কিছু শপিং মল। যমযম টাওয়ারে পাবেন কিছু ব্যয়বহুল দোকান। যমযম টাওয়ারের পাশে লাগোয়া আল সাফওয়া টাওয়ার শপিংমল কেনাকাটার জন্য ভালো। হারাম শরীফের চারপাশের শপিং সেন্টারগুলোও ব্যয়বহুল। তবে কিছুদূর গেলে মু‘আল্লা কবরস্থানের পাশে পাইকারি ও সস্তায় পণ্য কেনার জন্য বেশ কিছু সুপার মার্কেট ও শপিং মল পাবেন। এছাড়া আজিজিয়া মার্কেটেও যেতে পারেন। মনে রাখবেন, হাদীসে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পৃথিবীর মধ্যে নিকৃষ্টতম স্থান হলো বাজার। তাই বাজারে বেশি সময় নষ্ট করবেন না।
  • আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ অনুসারে, মদীনার তুলনায় মক্কায় সবকিছুর দামই একটু বেশি। সে কারণে আমার মতে, কেনা-কাটা মদীনায় করাই ভালো।
  • এখানের অনেক দোকানেই বাঙালি বিক্রয়কর্মী দেখতে পাবেন। আপনি সহজেই তাদের সঙ্গে বাংলায় কথা বলতে পারেন। তবে একটা দুঃখের বিষয় আমি লক্ষ্য করেছি এবং আমার মতো অনেকেরই এ অভিজ্ঞতা হয়েছে যে, বাঙালি বিক্রয়কর্মীরাই বাঙালিদের কাছে জিনিসপত্রের বেশি দাম চান! এমনকি অনেক বাঙালি বিক্রয়কর্মী নিজেদের বাঙালি পরিচয় পর্যন্ত দিতে চান না, কারণ এতে যদি আপনি তার সঙ্গে দামাদামি শুরু করে দেন!
  • তবে একটি বিষয় আপনার কাছে আশ্চর্যজনক মনে হবে এবং ভালোই লাগবে সেটা হলো-যে কোনো সালাতের আযান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সব দোকান বন্ধ হয়ে যায়। সালাতের সময় সে দেশে কোনো বেচা-কেনা হয় না। ক্রেতা-বিক্রেতা সালাতের সময় শপিং মলে থাকলেও সালাতে দাঁড়িয়ে যান। সালাত শেষ হলে আবার বেচা-কেনা শুরু হয়ে যায়।

শেষ কথা হলো: মক্কা থেকে পারলে তাকওয়াকে ক্রয় করে অন্তরে গেঁথে নিয়ে যান!