তাওয়াফের ক্ষেত্রে প্রচলিত ভুলত্রুটি ও বিদ‘আত
- অনেকে মনে করেন তাওয়াফের জন্য গোসল করা বাধ্যতামূলক।
- মহিলাদের কোনো স্পর্শ যাতে না লাগে সেজন্য মোজা পরা বা একজাতীয় স্যান্ডেল পরা অথবা হাত আবৃত করা।
- মসজিদুল হারামে প্রবেশ করে (তাওয়াফের বাধ্য-বাধকতা থাকার পরও) তাহিয়্যাতুল মসজিদ সালাত পড়া।
- তাওয়াফের তাকবীরের সময় উভয় হাত উচু করা এবং বাজেভাবে শব্দ করে হাতে চুমু খাওয়ার শব্দ করা ও হাতে চুম্বন করা।
- হাতিমের মধ্য দিয়ে তাওয়াফের চেষ্টা করা, হাতিম আসলে কা‘বারই অংশ।
- ৭ চক্করের জন্য ৭ টি আলাদা আলাদা দো‘আ মুখস্ত করে পাঠ করা।
- প্রচলিত যয়ীফ হাদীস; (আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক দিন ১২০টি রহমত নাযিল করেন। ৬০টি তাওয়াফকারীদের জন্য..)
- ইয়েমেনী কর্নার স্পর্শ করার সময় কাপড়ের নিচের প্রান্তে স্পর্শ করা।
- কালো পাথর স্পর্শ করার সময় বলা; (হে আল্লাহ আপনার প্রতি বিশ্বাস থেকে এবং আপনার গ্রন্থের সত্যায়ন থেকে..)
- কালো পাথর স্পর্শ করার সময় বলা; (হে আল্লাহ আমি আপনার থেকে গর্ব ও দারিদ্র এবং দুনিয়া ও আখিরাতের অমর্যাদা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।)
- তাওয়াফ করার সময় বাম হাতের উপর ডান হাত রাখা।
- কা‘বার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বলা; (হে আল্লাহ, এ ঘর আপনার ঘর এবং এ পবিত্র এলাকা আপনার, এর নিরাপত্তার দায়িত্বও আপনার..) এবং এরপর মাক্বামে ইবরাহীমে দিকে নির্দেশ করে বলা; (এটা তার স্থান যিনি জাহান্নামের আগুন থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে।)
- রমল করার সময় এ দো‘আ পাঠ করা বাধ্যতামূলক মনে করা; (হে আল্লাহ একে আপনি কবুল হজ হিসেবে গ্রহণ করুন, সকল গুনাহ মাফ করে দিন।)
- ক্যামেরা হাতে নিয়ে তাওয়াফ করা ও ভিডিও করা। তবে ট্যাব হাতে নিয়ে কুরআন পড়লে আপত্তি নেই।
- শেষের চার তাওয়াফের সময় এ দো‘আ পাঠ করা আবশ্যক মনে করা; (হে আল্লাহ আপনি আমাকে ক্ষমা ও দয়া করুন, ক্ষমা করুন যা আপনি জানেন।)
- শামি কর্নারে ও ইরাকী কর্নারে চুম্বন করা বা হাত দিয়ে স্পর্শ করা।
- কা‘বা শরীফ ও মাক্বামে ইবরাহীমের দেওয়াল জামা-কাপড় দিয়ে মোছা বা হাত বুলানো ফযীলত ও বরকতের আশায়।
- দয়ীফ হাদীস; (নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা ও ফেরেশতাগন তাওয়াফকারীদের অভিনন্দন জানান।)
- বৃষ্টির মধ্যে এ উদ্দেশ্য তাওয়াফ করা যে সকল গুনাহ ধুয়ে হয়ে যাবে।
- অপরিষ্কার কাপড় বলে তাওয়াফ থেকে বিরত থাকা এবং যমযমের পানি দিয়ে গোসল করা পাপ মোচনের আশায় অথবা কবরের আযাব থেকে বাঁচার প্রত্যাশায় ইহরামের কাপড় ধোয়া।
- যমযমের পানি পান করার পর অবশিষ্ট পানি আবার যমযম কুপে ফেলে বলা; (হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে ভরণপোষণের পর্যাপ্ত যোগান, দরকারি জ্ঞান এবং সকল ধরনের রোগ থেকে উপশম কামনা করছি।)
- আর্শীবাদ পাওয়ার আশায় যমযমের পানিতে দাড়ি, কাপড় ও টাকা ভিজানো।
অনেক ঢোকে যমযমের পানি পান করা এবং প্রতি ঢোকের সময় কা‘বার দিকে তাকানো।