ইহরামের বিধান লঙ্ঘনের কাফফারা
- ইহরাম অবস্থায় কারো সঙ্গে যৌন সঙ্গম করলে তার ইহরাম ভেঙে যাবে। হজ/উমরাহ সম্পূর্ণ বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু তবুও তাকে হজ/উমরাহর বাকি সব বিধান সম্পন্ন করতে হবে এবং তাকে কাফফারা হিসেবে হারাম এলাকার মধ্যে একটি ফিদইয়া/দম (পশু জবাই) করতে হবে এবং একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। আবার পরবর্তীতে তাকে হজ/উমরাহর জন্য আসতে হবে বা পুনরায় হজ/উমরাহ করতে হবে।
- কেউ যদি কাউকে ইহরাম অবস্থায় কোনো একটি নিষিদ্ধ কাজ করতে বাধ্য করে অথবা অন্য কোনো কারণে বাধ্য হয়ে ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কোনো কাজ করে তাহলেও তাকে কোনো ফিদইয়া দিতে হবে না।
- ইহরাম অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে তাতে ইহরাম নষ্ট হবে না। ফরয গোসলের মাধ্যমে নাপাক ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এ জন্য অতিরিক্ত আরেকটি ইহরাম কাপড় রাখা উত্তম।
- কেউ যদি সজ্ঞানে বা ইচ্ছাকৃতভাবে ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কোনো কাজ করে তাহলে কাফ্ফারা (ফিদইয়া/দম) আদায় করতে হবে।[1]
- ফিদইয়া/দম: হারাম এলাকার মধ্যে কাফ্ফারাস্বরূপ একটি পশু (উট বা গরুর এক সপ্তমাংশ/ পূর্ণ এক ছাগল/ পূর্ণ এক ভেড়া) যবেহ করা যা কোরবানির উপযুক্ত এবং সম্পূর্ণ মাংস মিসকিন ও গরীবদের মাঝে বিতরণ করে দেওয়া অথবা তিন দিন সাওম রাখা অথবা ৬ জন গরীব লোককে এক বেলা খাওয়ানো (প্রত্যেককে অন্তত অর্ধ সা‘ বা ১.২০ কেজি পরিমাণ খাবার দেওয়া)।[2]
- ইহরামের বিধিবিধান ও ফিদইয়া/দম বিষয়ে আরও বিস্তারিত ও খুটিনাটি বিষয় জানতে কয়েকটি বই পড়ুন।
- মক্কার হারাম এলাকার সীমা: পূর্বে ১৬ কিলোমিটার (জা‘রানা), পশ্চিমে ১৫ কিলোমিটার (হুদায়বিয়াহ), উত্তরে ৭ কিলোমিটার (তান‘ঈম), দক্ষিণে ১২ কিলোমিটার (আদাহ), উত্তর-পূর্বে ১৪ কিলোমিটার (নাখলা উপত্যকা)।
- জিবরীল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম মক্কার সম্মানে হারাম এলাকার সীমানা নির্ধারণ করেন। হারামের সীমানার মধ্যে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। হারামের সীমানার মধ্যে অমুসলিমদের প্রবেশের কোনো অনুমতি নেই।
[1] সূরা আল-বাকারা: ২:১৯৬
[2] সহীহ বুখারী ও মুসলিম
[2] সহীহ বুখারী ও মুসলিম