ইহরামের তাৎপর্য
- ইহরাম শব্দের আভিধানিক অর্থ- হারাম করা, সীমাবদ্ধ বা অনুমতিহীন। ইহরামের মাধ্যমে উমরাহ/হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
- হজ ও উমরাহ পালন করার সময় ইহরাম করা বাধ্যতামূলক। ইহরাম করা অবস্থায় নির্দিষ্ট কিছু কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
- ইহরাম অবস্থায় সকল পুরুষ একই রকমের পোশাক পরিধান করেন, যাতে করে ধনী-গরীবে কোনো ভেদাভেদ না থাকে। ইহরাম শ্রেণি, জাতি ও সংস্কৃতির পার্থক্য দূর করে দেয়।
- ইহরামের কাপড় সিল্ক অথবা যে পশুর মাংস হারাম তার পশম দিয়ে তৈরি করা না হয় এবং কাপড় এতটা স্বচ্ছ হবে না যাতে শরীরের ভেতরের অংশ দেখা যায়।
- পুরুষের জন্য ইহরামের পোশাক; সেলাইবিহীন দুই খণ্ড কাপড় (সাদা রং অগ্রাধিকার)। যে কাপড় দিয়ে শরীরের উপরের অংশ আবৃত করা হয় তাকে বলে ‘রিদা’, আর যে কাপড় দিয়ে শরীরের নিচের অংশ আবৃত করা হয় তাকে ‘ইযার’ বলে।
- মহিলারা তাদের স্বাভাবিক পোশাকের মতো সেলাইযুক্ত হালকা যে কোনো রংয়ের পছন্দনীয় পোশাক পরিধান করবেন (তা হবে শালিন, পরিস্কার, সুগন্ধিমুক্ত এবং খুব টকটকে রংচংয়ে ও আকর্ষণীয় হবে না)। সাথে সাথে ইসলামী শরী‘আহ অনুসারে অবশ্যই যথাযথ পর্দা পরতে হবে।
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে প্রথমেই মক্কায় যান এবং উমরাহ পালন করেন তাহলে আপনি ‘কারনুল মানাযিল’ মীকাত থেকে ইহরাম করবেন। আর আপনি যদি প্রথমে মদীনা যান এবং মদীনা থেকে মক্কায় যান তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি ‘যুল হুলায়ফা’ মীকাত থেকে ইহরাম করবেন।