হজের তাৎপর্য
- হজ ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বুনিয়াদি স্তম্ভ।
- হজ শব্দের আভিধানিক অর্থ; সংকল্প করা বা ইচ্ছা করা।
- আল্লাহর নির্দেশ মেনে ও তাঁর সন্তুষ্টির জন্য সৌদি আরবের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে সফর করা এবং ইসলামী শরী‘আহ অনুসারে নির্দিষ্ট কিছু কর্মকাণ্ড সম্পাদন করার নামই হজ।
- মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১০ম হিজরীতে একবার স্বপরিবারে হজ পালন করেন।
- ৯ম বা ১০ম হিজরীতে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে হজকে ফরয করা হয়।
- হজ সম্পন্ন করতে জিলহজের ৮ থেকে ১৩ তারিখে মধ্যে আরবের মক্কা, মিনা, আরাফা ও মুযদালিফায় নির্দিষ্ট কিছু কর্মকাণ্ড সম্পাদন করতে হয়।
- হজ সম্পাদনের অন্যতম একটি অংশ হলো ৯ যিলহজ আরাফা ময়দানে অবস্থান করা। এ আরাফা ময়দান হাশরের ময়দানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় যেখানে সমগ্র মানবজাতি একত্রিত হবে সুবিস্তৃত এক ময়দানে।
- হাদীসে হজযাত্রীদের আল্লাহর মেহমান হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
- কুরআন মাজীদে সূরা আল-হাজ (২২ নং সূরা) নামে একটি সূরা রয়েছে, যেখানে হজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য আলোচিত হয়েছে।
- নারীদের জন্য হজ হলো জিহাদের সমতুল্য। আর এটি জান্নাত লাভের একটি অবলম্বনস্বরূপ।
- হজ একজন মুসলিমের মাঝে শান্তি ও শুদ্ধি আনয়ন করে এবং অতীতের সকল পাপ মোচন করে দেয়।
- হজ সফরে ইহরামের (কাফন) কাপড় পরে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে পরকালের পথে রওয়ানা হওয়াকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
- হজের সফরে আল্লাহর বিধি-নিষেধ মেনে চলা স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে যে মুমিনের জীবন লাগামহীন নয়। মুমিনের জীবন আল্লাহর রশিতে বাঁধা।
- হজের সফরে পাথেয় সঙ্গে নেওয়া আখেরাতের সফরে পাথেয় সঙ্গে নেওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
- হজ মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী মহাজাতিতে পরিণত হতে উদ্বুদ্ধ করে।
- এখন বাংলাদেশ থেকে হজ সফর সম্পাদন করতে ১৫-৪০ দিন সময় লাগে।
বর্তমানে সমগ্র পৃথিবী থেকে প্রতি বছর প্রায় ২৫-৩০ লক্ষাধিক মুসলিম হজ পালন করেন।