১। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ নজর লাগা সত্য, আর কোন কিছু যদি তাকদীরকে অতিক্রম করত তবে তা বদ নজর হত। আর তোমাদের মধ্যে কাউকে যখন (এর জন্য) গোসল করতে বলা হয় তখন সে যেন গোসল করে। (ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেনঃ ৫/৩২)
২। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন যে, [নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর যুগে] নজর যে ব্যক্তি লাগিয়েছে তাকে ওযু করতে বলা হত। আর সেই ওযু করা পানি দিয়ে নজর লাগা ব্যক্তিকে গোসল দেয়া হত।" (আবু দাউদঃ ৩৮৮০ সহীহ সূত্র)
উল্লেখিত হাদীসদ্বয় দ্বারা নজরকৃত ব্যক্তির জন্য বদ নজরকারীর ওযু ও গোসল সাব্যস্ত হয়।
চিকিৎসার দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ
রোগীর মাথায় হাত রেখে নিম্নের দু'আ পড়ুনঃ
بسم الله أرقيك ولله يشفيك من كل داء يؤذيك ومن كل نفس أو عين حاسد الله يشفيك بسم الله أرقيك
অর্থঃ আল্লাহর নামে তোমায় ঝাড়-ফুক করছি। আর আল্লাহই তোমাকে কষ্টদায়ক রোগ থেকে মুক্তি দিবেন। আর সকলের অনিষ্ট ও হিংসুক বদ নজরকারীর অনিষ্ট থেকে তোমাকে আরোগ্য দিবেন। আল্লাহর নামে তোমাকে ঝাড়ছি। (মুসলিমঃ ২১৮৬)
তৃতীয় পদ্ধতিঃ
রোগীর মাথায় হাত রেখে এই দু'আ পড়ুনঃ
بسم الله يبريك من كل داء يشفيك ومن شر حاسد اذا حسد ومن شر كل ذى عين
অর্থঃ আল্লাহর নামে ঝাড়ছি, তিনি তোমাকে মুক্ত করবেন এবং তিনিই প্রত্যেক রোগ থেকে তোমাকে আরোগ্য দিবেন এবং হিংসাকারীর হিংসার অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে এবং সকল বদ নজরের অনিষ্ট থেকে আল্লাহ তোমায় রক্ষা করুক। (মুসলিমঃ ২১৮৬)
রোগীর মাথায় হাত রেখে এই দু'আ পড়ুনঃ
اللهم رب الناس أذهب البأس واشف أنت الشافي لا شفاء إلا شفاؤك شفاء لا يغادر سقما
অর্থঃ হে আল্লাহ! মানবজাতির প্রভু তার কষ্ট দূর করে দাও এবং সুস্থ করে দাও। কেবল তুমিই রোগমুক্তির মালিক তোমার চিকিৎসা ব্যতীত আর কোন চিকিৎসা নেই তুমি এমন সুস্থ করে দাও যেন কোন রোগ না থাকে। (বুখারী কিতাবুত ত্বিব)
পঞ্চম পদ্ধতিঃ
বদনজরের রোগীর ব্যথার স্থানে হাত রেখে নিম্নের সূরা গুলো পড়ে ঝাড়বেঃ সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাসঃ
(قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ)
(قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ مَلِكِ النَّاسِ إِلَٰهِ النَّاسِ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ)