এর চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছেঃ

প্রথম পদ্ধতিঃ যে ব্যক্তি নজর লাগিয়েছে যদি তার সম্পর্কে জানা যায় তবে তার গোসল করা পানি নিয়ে রোগীর পিঠে ঢেলে দিবে। তাতে আল্লাহ তায়ালার হুকুমে সে আরোগ্য লাভ করবে।

আবু উমামা বিন সাহাল বিন হুনাইফ থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমার পিতা সাহাল বিন হুনাইফ মদীনার খাররার নামক উপত্যকায় গোসল করার জন্যে প্রস্তুতি নিলেন। যখন তিনি গোসলের জন্যে জামা খুললেন তখন তার শরীরে আমের বিন রাবীয়ার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) দৃষ্টি পড়ে। যেহেতু সাহাল বিন হুনাইফ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) সুন্দর ও সুঠাম দেহের অধিকারী ছিলেন, তাই আমের দেখামাত্র বলে উঠল। আজকের মত এমন (সুন্দর) আমি চামড়া কখনও দেখিনি; এমন কি অন্দর মহলের কুমারীদেরও না। তার একথা বলার সাথে সাথে সাহাল তৎক্ষণাৎ বেহুশ হয়ে পড়ে যায় এবং প্রচন্ড আকারে রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে বিষয়টি জানানো হয় এবং বলা হল যে, সে তার মাথা উঠাতে পারছে না।

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন তোমরা কি কারো প্রতি বদ নজরের সন্দেহ কর? উত্তরে লোকজন বলল, হ্যাঁ আমের বিন রাবীয়ার উপর সন্দেহ হয়। এটা শুনে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে ডেকে পাঠালেন এবং তার উপর রাগাম্বিত হয়ে বললেন, কেন তোমাদের মধ্যে কেউ নিজের ভাইকে হত্যা করে। তুমি তার জন্যে বরকতের দু'আ কেন করনি? এখন তার জন্যে গোসল কর। অতঃপর আমের নিজের হাত, চেহারা, দু'পা, দু'হাটু, দু’কনুই ও লুঙ্গীর আভ্যন্তরীণ অংশ একটি পাত্রে ধৌত করলেন । অতঃপর সেই পানি সাহাল বিন হুনাইফের পিঠে ঢেলে দেয়া হল। এরপর সাথে সাথে সুস্থ হয়ে গেল। (এই (রাহেমাহুল্লাহ) সহীহ বলেছেন।)

লুঙ্গীর আভ্যন্তরীন অংশ নিয়ে আলেমগণের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। কেউ বলেন, তা দ্বারা শরীরের অংশ বুঝানো হয়েছে। আর কেউ এটাও বলেছেন যে, এর অর্থ লজ্জাস্থান। এটাও বলা হয়েছে যে, কোমর কাজী ইবনুল আরবী বলেন এর দ্বারা লুঙ্গীর নিম্নের সংশ্লিষ্ট অংশ বুঝানো হয়েছে।