১ । যাদুর লক্ষণসমূহ আর জিনে ধরা লক্ষণসমূহ এক হতে পারে।
২। পেটে সর্বদা ব্যাথা হলে বুঝতে হবে, যাদু করে খাওয়ানো হয়েছে অথবা পান করানো হয়েছে।
৩। কুরআনে কারামের মাধ্যমে চিকিৎসা ফলপ্রসূ হওয়া দু'টি বিষয়ের উপর নির্ভর করেঃ
প্রথমতঃ চিকিৎসককে আল্লাহ তায়ালার হুকুমের পাবন্দ হতে হবে।
দ্বিতীয়তঃ রোগীর কুরআনের চিকিৎসার কার্যকারীতা সম্পর্কে পূর্ণ আস্থা থাকতে হবে ।
৪ । অন্তরে অস্থিরতা বিশেষ করে রাতে। এই লক্ষণটি অধিকাংশ যাদুর ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।
৫। যাদুর স্থান দু’ভাবে সন্ধান পাওয়া যেতে পারেঃ প্রথমতঃ যাদুতে নির্ধারিত জ্বিনের সত্য সংবাদে যে অমুক স্থানে যাদুর বস্তু রয়েছে। তবে জ্বিনের কথা যাচাই না করে বিশ্বাস করা যাবে না কেননা তারা সাধারণত মিথ্যাই বলে ।
দ্বিতীয়তঃ রোগী অথবা চিকিৎসক ইখলাস ও নিষ্ঠার সাথে ফযীলত পূর্ণ সময়ে যেমনঃ রাতের শেষভাগে দুই রাকআত নামায আদায় করবে এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করবে যে, আল্লাহ যেন যাদুর স্থান জানিয়ে দেয়। এর ফলে স্বপ্লের মাধ্যমে জানতে পারবে অথবা ধারণা সৃষ্টি হবে। অতঃপর সে আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করবে।
৬। কালো জিরার তেলে ঝাড়-ফুঁক করে রুগীকে সকাল-সন্ধ্যায় ব্যাথার স্থানে উক্ত তেল মালিশ করতে বলতে হবে। এটি সবধরণের যাদুর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ
الْحَبَّةِ السَّوْدَاءِ شِفَاءٌ مِنْ كُلِّ دَاءٍ إِلَّا السَّامَ
অর্থাৎ "কালো জিরা প্রত্যেক রোগের ঔষধ মৃত্যু ব্যতীত।" (বুখারীঃ ৫৬৮৭ ও মুসলিমঃ ২২১৫)