একদিন এক ব্যক্তি এসে আমাকে বলল, তার মেয়ে হঠাৎ আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে বেহুশ হয়ে যায় এরপর দু'মাস পর্যন্ত কথা বলতে পারে না । শুধু এখন শুনতে পায়। খাবার খেতে পারে না, আর না সে তার শরীরের কোন অঙ্গ নড়া-চড়া করে। বর্তমানে সে সৌদি আরবের আবহা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ডাক্তারগণ বলেছেন তার জন্য সকল প্রকার টেষ্ট করা হয়েছে; এমন কি একজন ডাক্তার বলেন তার সব রিপোর্ট ভাল; কিন্তু বুঝে আসছে না এর মূল তথ্য ও রহস্য। এখন সে কঠিন মুহুর্তে সময় কাটছে। শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার জন্যে তার গলায় ছিদ্র করে দেয়া হয়েছে। আর নাক দিয়ে পাইপের মাধ্যমে তার পেটে খাবার দেয়া হয় যাতে বাকী জীবন এভাবে চলতে পারে।
আমি চিকিৎসার জন্যে কারো কাছে যাই না; যদিও সে যে কেউ হোক; সে যেহেতু আমার এক প্রিয় বন্ধু এবং বড় আলেম শায়খ সাঈদ বিন মুসফির কুহিতানীর মাধ্যম নিয়ে আমার কাছে এসেছিল এজন্যে বাধ্য হয়ে আমাকে সাথে যেতে হয়।
হাসপাতালে প্রবেশের বিশেষ অনুমতি পাওয়ার পর উপরোক্ত মেয়ের চিকিৎসার জন্যে তার কাছে পৌছলাম। সেখানে দেখতে পেলাম যে, মেয়েটি বোবা হয়ে তার বিছানায় শুয়ে আছে। সে শুনতে ও দেখতে পায় মাত্র; কিন্তু বলতে পারে না, এক মাথা ছাড়া কোন কিছু নড়াতেও পারছে না এবং দুর্বল হয়ে এমন অবস্থায় পৌছেছে যা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। আমি তাকে কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সে মাথায় না বোধক উত্তর দেয় । আমি বুঝতে পারলাম না তার কি হয়েছে এরপর আমি নামায পড়ার জন্যে মসজিদে গেলাম সেখানে নামায পড়ে তার সুস্থতার জন্যে আল্লাহর কাছে দুআ করি এবং ফিরে এসে আমি তার মাথায় হাত রেখে সূরা ফালাকু তেলাওয়াত করি এবং নিম্নে দু'আটি পড়িঃ
اللهم رب الناس أذهب البأس واشف أنت الشافي لا شفاء إلا شفاؤك شفاء لا يغادر سقما
অতঃপর মেয়েটি আল্লাহ তায়ালার করুণায় কথা বলতে লাগল। তার বাবা ও ভাই খুশিতে কেঁদে ফেলল। তার পিতা আমার মাথায় চুম্বন করতে চাইলে আমি তাকে বললাম যে, এতে আমার কোন কৃতিত্ব নেই। এসব আল্লাহ তায়ালার মেহেরবানী। এরপর মেয়েটি বলল যে, আমি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে যেতে চাই। অতঃপর তারা তাকে বাড়িতে নিয়ে গেল।