এই যাদু কিভাবে হয়ে থাকে (কাউকে যাদুর মাধ্যমে শারীরিকভাবে রোগী বানিয়ে দেয়া)

এটা সবার কাছেই জানা যে, মানুষের মস্তিষ্ক সব অংশের মূল শরীর যে কোন অংশকে মস্তিষ্ক পরিচালনা করে এবং বিপদ আসলে বিপদ সংকেত দিয়ে অঙ্গকে রক্ষা করে। আর তা সেকেন্ডের কম সময়ের মধ্যেই হয়ে থাকে।

فَأَرُونِي مَاذَا خَلَقَ الَّذِينَ مِنْ دُونِهِ

অর্থঃ "এটা আল্লাহর সৃষ্টি আর আল্লাহ ব্যতীত যে (সব মিথ্যা) মাবুদ রয়েছে তাদের সৃষ্ট কিছু আমাকে দেখাও।" (সূরা লোকমানঃ ১১)

যখন মানুষ এই ধরণের যাদুতে আক্রান্ত হয় তখন জ্বিন লোকটির মস্তিস্ককে আয়ত্বে নিয়ে আসে। অতঃপর যাদুকর যে অঙ্গের সমস্যা করতে বলে সেই জ্বিন সেই অঙ্গের সমস্যাই করে। অতএব হয়ত জ্বিন মানুষের শ্রবণ শক্তি অথবা দৃষ্টিশক্তির কেন্দ্র বিন্দুতে প্রভাব বিস্তার করে অথবা মস্তিষ্কের সঙ্গে সম্পর্ক যে কোন অঙ্গে রগ যার সম্পর্ক অঙ্গে প্রভাবিত করে এমতাবস্থায় অঙ্গ তিনটি অবস্থায় পতিত হতে পারেঃ

এর তিন অবস্থাঃ

১। হয়ত জিন আল্লাহর পক্ষ হতে সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে কোন অঙ্গে চালিকা শক্তি একেকবার নিস্তেজ করে দেয় তখন সে অঙ্গ সম্পূর্ণরূপে অচল হয়ে যায় ফলে সে রোগী সম্পূর্ণরূপে অন্ধ অথবা শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলা।

২। অথবা জিন আল্লাহর শক্তির দ্বারাই কোন অঙ্গেও চালিকা শক্তি আচল করে আবার কখনো ছেড়ে দেয় যার ফলে সে অঙ্গ কখনো ঠিক হয়ে যায় আবার পুনরায় সে আক্রান্ত হয়ে যায়।

৩ । অথবা রোগীর মস্তিষ্কের চালিকা শক্তি বরাবর চলমান থাকা অবস্থায় তার কোন অঙ্গ ছিনিয়ে নেয় তখন আর নড়াচড়া থাকে না। যার জন্যে অঙ্গসমূহের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয় যদিও তা অবশ নয়। আর আল্লাহ তায়ালা যাদুকরদের সম্পর্কে বলেনঃ

وَمَا هُم بِضَارِّينَ بِهِ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ

অর্থঃ আর তারা আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কাউকে ক্ষতি করতে পারবে না। (বাকারাঃ ১০২)

এই আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, যাদুকর আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত কাউকে কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তাই সমস্ত রোগ ব্যধি আল্লাহর ইচ্ছায় হয় এবং আল্লাহর ইচ্ছায় মুক্তি পায়। ঔষধ ব্যতীতও যে, ঝাড়ফুকের মাধ্যমে আল্লাহর ইচ্ছায় রোগমুক্তি হয়, অনেক ডাক্তারই তো মানতে চায় না। তবে বাস্তব প্রমাণ দেখার পর তারা মানতে বাধ্য হয় ।

এক ডাক্তার আমার কাছে এসে বলতে লাগল যে, আমি একটি ব্যাপারে এসেছি যা আমাকে আশ্চর্যাম্বিত করে ফেলেছে। আমি বললাম কি সেই ব্যাপার? সে বললঃ এক ব্যক্তি আমার কাছে তার একটি ছেলে নিয়ে আসল যে পোলিও রোগে আক্রান্ত অর্থাৎ তার বাচ্চাটির শরীরের আচল অবস্থা হয়েছিল। যখন আমি চেক-আপ করে জানতে পারলাম যে, সে মেরুদন্ডজনিত এমন রোগে আক্রান্ত যার কোন চিকিৎসা নেই। অপারেশনও বিফল; কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পর লোকটি আমার নিকট আসলে আমি তার সেই চার হাত পা অচল ছেলেটির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে সে বলেঃ আলহামদুলিল্লাহ এখন সে বসে এমনকি দেয়ালের উপর দিয়ে চলে ।

আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি তোমার সন্তানকে কার নিকট হতে চিকিৎসা করেছ?

উত্তরে সে বললঃ শায়খ ওহীদের কাছে।

ডাঃ বললঃ তাই আমি আপনার কাছে বিষয়টি জানতে এসেছি যে, আপনি তার চিকিৎসা কিভাবে করেছেন?

আমি সেই ডাক্তারকে বললাম, আমি কুরআনের আয়াত পড়েছি এবং কালো জিরার তেলের উপর ফু দিয়ে অবশ অঙ্গগুলিতে মালিশ করতে বললাম। আল্লাহ তায়ালা সেই বান্দাকে সুস্থ করে দিয়েছেন। এসব আল্লাহর কৃপা আমার কাছে কিছুই নেই।