১। ভীতিজনক স্বপ্ন দেখা।
২। স্বপ্নে কাউকে ডাকতে দেখা।
৩। জাগ্রত অবস্থায় আওয়াজ শোনা অথচ কাউকে দেখতে না পাওয়া।
৪। ওয়াসওয়াসা বৃদ্ধি পাওয়া।
৫। নিকটাত্মীয় ও বন্ধুদের সম্পর্কে অতিমাত্রায় সন্দেহ সৃষ্টি হওয়া।
৬ স্বপ্নে উচু স্থান থেকে নিচে পড়ে যেতে দেখা।
৭। স্বপ্লে ভয়ঙ্কর জন্তুকে দেখতে পাওয়া যা তাকে তাড়া করছে।
এই প্রকার যাদু যেভাবে করা হয়ে থাকেঃ
যাদুকর কোন জিনকে এই কাজের দায়িত্ব অর্পণ করে থাকে যে, অমুক ব্যক্তিকে নিদ্রা ও জাগ্রত অবস্থায় ভীতিজনক কিছু দেখাও, অতঃপর সেই জিন নিদ্রা অবস্থায় স্বপ্লের মাধ্যমে ভয়ঙ্কর জন্তুর রূপ ধারণ করে ভীতি প্রদর্শন করে। আর কখনও জাগ্রত অবস্থায় ভীতিজনক আওয়াজে তাকে ডাকে। কখনও সেই কণ্ঠ পরিচিত মনে হয় কখনো অপরিচিত। এই যাদু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে কখনও মানুষ পাগল হয়ে যায় আবার কখনও ওয়াসওয়াসা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে প্রতিক্রিয়া যাদুর শক্তি অনুযায়ী কম বা বেশি হয়ে থাকে।
এই প্রকার যাদুর চিকিৎসাঃ
১ । পুস্তকে প্রাথমিক আলোচনায় যাদুর চিকিৎসার যেই পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে তা অবলম্বন করবে।
২ । বেহুশ হলে যেই পন্থা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে তা গ্রহণ করতে হবে।
৩। যদি রোগী বেহুশ না হয় তবে চিকিৎসায় নিম্নের নির্দেশনা প্রদান করবেঃ
(১) ঘুমানোর পূর্বে ওযু, এবং আয়াতুল কুরসী পড়বে।
(২) রোগী দু'হাত প্রার্থণার মত উঠাবে এবং সূরা নাস, সূরা ফালাক ও সূরা ইখলাস পড়ে দু'হাতে ফু দিবে এবং সমস্ত শরীর দু'হাতে স্পর্শ করবে এমনটি তিনবার করবে। (বুখারী ও মুসলিম)
(৩) সকালে সূরা সাফফাত পড়বে আর সূরা দুখান রাতে ঘুমানোর সময় পড়বে অথবা কমপক্ষে এই দু'টি সূরা শুনবে ।
৪ । তিন দিন অন্তর অন্তর সূরা বাকারা পড়বে অথবা শুনবে।
৫। প্রত্যেকদিন সকাল-সন্ধ্যায় সাতবার নিম্নের দু’আ পড়বেঃ
فَإِنْ تَوَلَّوْا فَقُلْ حَسْبِيَ اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
অর্থঃ অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে তুমি বলে দাওঃ আমার জন্যে তো আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া অন্য কোন সত্য মা'বূদ নেই আমি তারই উপর নির্ভর করছি, আর তিনি হচ্ছেন মহা আরশের মালিক। (সূরা তাওবাঃ ১২৯)
৬। প্রত্যেক দিন রাতে ঘুমানোর সময় সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়বে। (বুখারী ও মুসলিম)
৭। শোয়ার সময় রোগী এই দু'আ পড়বেঃ
بِسْمِ اللَّهِ وَضَعْتُ جَنْبِي ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي ، وَأَخْسِئْ شَيْطَانِي ، وَفُكَّ رِهَانِي ، وَاجْعَلْنِي فِي النَّدِيِّ الْأَعْلَى
৮। নিম্নের সূরাসমূহ ক্যাসেটে রেকর্ড করে রোগীকে প্রত্যহ তিন বার শুনাবেঃ সুরা ফুসসিলাত, সূরা ফাতাহ, সূরা জ্বিন।
এভাবে এক মাস চালাবে ইনশাআল্লাহ রোগী সুস্থ হয়ে যাবে।