এই যাদুতে নিম্নের লক্ষণসমূহ পাওয়া যায়।
১ । একাকিতুকে পছন্দ করা।
২। সম্পূর্ণরূপে আলাদা থাকা।
৩। সর্বদায় চুপ থাকা।
৪। মানুষের সাথে সামাজিকতাকে ঘৃণা করা।
৫। অস্বস্থি মেজাজ।
৬। সব সময় মাথা ব্যাথা।
এই প্রকার যাদু যেভাবে করা হয়ে থাকেঃ
যাদুকর জ্বিনকে সেই ব্যক্তির কাছে প্রেরণ করে যাকে যাদু করতে চায়। আর জ্বিনকে নির্দেশ দেয় যে, সে যেন ব্যক্তিটির মস্তিষ্ককে নিজ আয়ত্বে নিয়ে আসে। আর এ যাদুর প্রভাব এতোই বেশি হয় জ্বিন যত শক্তিশালী হয়।
এই প্রকার যাদুর চিকিৎসাঃ
১। পূর্বের পদ্ধতিতে তাকে ঝাড়বে। আর যখন রোগী বেহুশ হয়ে যাবে তখন তাকে উত্তম কাজের নির্দেশ আর অন্যায়, অবিচার, পাপ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিবে। যেমনঃ পূর্বে বর্ণনা করা হয়েছে।
২। আর যদি রোগী বেহুশ না হয় তবে কুরআনের ক্যাসেট তাকে শোনার জন্য দিবে যাতে থাকবে
(১) সূরা ফাতেহা,
(২) সূরা বাকারা
(৩) আলে-ইমরান,
(৪) সূরা ইয়াসীন,
(৫) আসসাফফাত,
(৬) আদুখান,
(৭) যারিয়াত,
(৮) হাশর,
(৯) মাআরেজ,
(১০) গাশিয়া,
(১১) যিলযাল,
(১২) আলকুরিয়া,
(১৩) ফলাক ও (১৪) সূরা নাস।
এই সমস্ত সূরাসমূহকে তিনটি ক্যাসেটে রেকর্ড করবে আর রোগীকে বলবে, এক ক্যাসেট সকালে ও দ্বিতীয়টি বিকালে ও অন্যটি ঘুমানোর সময় শুনবে। এভাবে ৪৫ দিন শুনবে বা মেয়াদ ৬০ দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
উক্ত সময় অতিক্রম করলে আল্লাহর ইচ্ছায় সে আরোগ্য লাভ করবে।
৪। রোগী তার আরামের জন্যে কোন ঔষধ ব্যবহার করবে না।
৫। রোগী যদি পেটে ব্যাথা অনুভব করে তাহলে উল্লেখিত সূরা সমূহ পড়ে পানিতে ফু দিয়ে রোগীকে উপরোক্ত মেয়াদ পর্যন্ত পান করতে দিবে।
৬। আর যদি রোগীর সর্বদায় পেটে ব্যাথা থাকে তবে সেই পানির দ্বারা প্রতি তিন দিন অন্তর অন্তর গোসল করবে তবে শর্ত হলো সে পানি বৃদ্ধি করে নিবে না বা গরম করবে না এবং পরিস্কার জায়গায় গোসল করবে।