আমার কাছে এক মহিলার স্বামী এসে বলতে লাগল যে, তার স্ত্রী তাকে একেবারেই দেখতে পারে না। আমি তার থেকে দূরে থাকলে খুব খুশি । যখন আমি বাড়ীতে আসি তার অবস্থা পরিবর্তন হয়ে যায়। সুতরাং যখন আমি মহিলাকে কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম তাতে বুঝতে পারলাম যে, তাকে বিচ্ছেদের যাদু করা হয়েছে। অতঃপর যখন তার উপর শরয়ী ঝাড়ফুক করলাম তখন জ্বিন কথা বলতে শুরু করলঃ
জ্বিনের সাথে আমার কথোপকথনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এইঃ
আমি বললামঃ তোমার নাম কি?
জ্বিনঃ আমি বলব না।
আমি বললামঃ তোমার ধর্ম কি?
জ্বিনঃ ইসলাম।
আমি বললামঃ মুসলমানদের জন্য কি জায়েয মুসলিম মহিলাকে কষ্ট দেয়া?
জ্বিনঃ আমার সাথে তার ভালবাসা হয়ে গেছে, আমি তাকে কষ্ট দেই না; কিন্তু আমি চাই যে, তার নিকট হতে তার স্বামী বিচ্ছিন্ন হয়ে যাক।
আমি বললামঃ তুমি কি স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ চাও?
জ্বিনঃ হ্যাঁ।
আমি বললামঃ তোমার জন্য এটা হারাম, আল্লাহর নির্দেশ মেনে বের হয়ে যাও।
জ্বিনঃ না না আমি ওকে ভালবাসি।
আমি বললামঃ কিন্তু সে তো ঘৃণা করে।
জ্বিনঃ না, এও আমাকে ভালবাসে।
আমি বললামঃ তুমি মিথ্যাবাদী। সত্য হল যে, সে তোমাকে ঘৃণা করে
যার কারণে এই মহিলা এখানে এসেছে যাতে তোমাকে তার দেহ হতে বের করতে পারে।
জ্বিনঃ আমি কখনো যাব না।
আমি বললামঃ আমি কুরআন পড়ে আল্লাহর সাহায্য ও তোমাকে জ্বালিয়ে দিব।
এরপর আমি কুরআনের আয়াত পড়া শুরু করলাম যার ফলে জ্বিন চিল্লাতে লাগল।
আমি বললামঃ এখন বের হবি কিনা?
জ্বিন হ্যাঁ! কিন্তু এক শর্তে
আমি বললামঃ কি সেই শর্ত?
জ্বিনঃ আমি এই মহিলা থেকে বের হয়ে তোমার ভেতরে প্রবেশ করব।
আমি বললামঃ তাতে কোন সমস্যা নেই যদি তুই আমার মধ্যে প্রবেশ করতে পারিস কর। অল্পক্ষণ অপেক্ষা করার পর সে কাঁদতে লাগল।
আমি বললামঃ কিসে তোকে কাদাল?
জিনঃ কোন জিন আজ তোমার ভেতর প্রবেশ করতে পারবে না।
আমি বললামঃ কেন? এর কি কারণ
জিনঃ এজন্য যে, আজ তুমি সকালে (لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ) একশ বার পড়েছ।
আমি ভাবলামঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সত্যই বলেছেন, যে ব্যাক্তি সকালে (لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ) ১০০ বার পড়বে সে যেন দশটি দাস মুক্ত করল, আর তার আমলনামায় একশ নেকী লেখা হবে, আর তার থেকে একশত গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হবে, আর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান থেকে হেফাজতে থাকবে। তার অপেক্ষা কেউ এমন ফযীলত পাবে না, তবে যে তার অপেক্ষা বেশি আমল করবে। এরপর আমি তাকে বললামঃ অতএব তুমি এই মুহুর্তে এই মহিলাকে ছেড়ে চলে যাও। সব একমাত্র আল্লাহর ইচ্ছায় আলহামদুলিল্লাহ সে এমনটিই করল এবং বের হয়ে গেল ।