যাদুকর একটি পাখি বা জন্তু বা মুরগি বা কবুতর বা অন্য কিছু জিনের আবদার অনুযায়ী হাজির করে। সাধারণত যা কাল রঙের হয়ে থাকে। কেননা জিন কাল রং পছন্দ করে। তারপর আল্লাহর নাম না নিয়ে তা যবাই করে। অতঃপর কখনও সে রক্ত রুগীকে মাখায়। কখনও এরূপ না করে পরিত্যাক্ত গৃহে বা কূপে বা মরুভূমিতে নিক্ষেপ করে। যেগুলিতে সাধারণত জিন বসবাস করে থাকে। নিক্ষেপের সময় আল্লাহর নাম নেয় না। এরপর স্বীয় ঘরে ফিরে এসে শিরকী মন্ত্র পড়ে। তারপর জিনকে যা ইচ্ছা হুকুম করে ।
উক্ত পদ্ধতির বিশ্লেষণঃ এ পদ্ধতিতে দু’ভাবে শিরক হয়ে থাকে।
প্রথমতঃ জিনের উদ্দেশ্যে যবাই করা। যা পূর্ব ও পরবর্তী সকল ইমামের ঐক্যমতে হারাম; বরং তা হলো শিরক। কেননা আল্লাহ ব্যতীত কারো নামে যবাই করা কোন মুসলমানের জন্য খাওয়া জায়েয নয়। আর যবাই করা তো বহুদূরের ব্যাপার তা সত্বেও কোন কোন অজ্ঞরা প্রত্যেক যুগে প্রত্যেক স্থানে এ ধরণের জঘন্য কাজ করে থাকে।
এক্ষেত্রে ইয়াহইয়া বিন ইয়াহইয়া বলেনঃ ওয়াহাব আমাকে বলেনঃ কোন এক খলিফা একটি ঝর্ণা কাটায়। যখন সে তা প্রবাহিত করাতে চায়। সে জিনের জন্য সেখানে যবাই করে, যাতে তারা তার পানি ভূ-গর্ভে না নামিয়ে দেয়। অতঃপর তা লোকদেরকে খাওয়ায় । এ খবর ইবনে শিহাব আয যুহরীকে পৌছিলে তিনি বলেনঃ সে তা যবাই করেছে তার উদ্দেশ্যে, যার উদেশ্য যবাই করা হালাল নয়; আবার তা লোকদেরকে আহার করিয়েছে যা তাদের জন্য হালাল নয়; বরং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিষেধ করেছেন ঐ জিনিস খেতে যা জিনের উদ্দেশ্যে যবাই করা হয় ইত্যাদি। (আহকামুল মারজানঃ ৭৮)
সহীহ মুসলিমে বর্ণিত আলী বিন আবু তালেব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তার বর্ণনায় বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ "যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে যবাই করল আল্লাহ তার প্রতি লা'নত করুন।”
দ্বিতীয়তঃ শিরকী মন্ত্ৰঃ আর তা হলো, ঐ সমস্ত শিরকী কালাম যা জিন হাজির করার সময় সে উপস্থাপন করে থাকে, যা স্পষ্ট শিরক। যেমনঃ শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা (রাহেমাহুল্লাহ) তার কিতাবের অনেক স্থানে উল্লেখ করেন। (আল ইবানা ফী উমুমির রিসালা)