জিন হাজির করার অনেক প্রকার রয়েছে। আর প্রত্যেক প্রকারেই স্পষ্ট শিরক বা কুফরী জড়িত রয়েছে। সেগুলির কতিপয় উল্লেখ করা হবে ইনশাআল্লাহ। নিম্নে আটটি পন্থা ও প্রত্যেক পন্থায় শিরকের কি ধরণ কিছু সংক্ষিপ্তাকারে বর্ণনা করা হবে। পরিপূর্ণ বর্ণনা দেয়া হবে না। যাতে কেউ তা শিখে ব্যবহার না করতে পারে। যার কারণে তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিলুপ্ত করে উল্লেখ করা হবে। আর এগুলি এজন্যেই বর্ণনা হলো, কেননা কোন কোন মুসলমান কুরআনী চিকিৎসা ও যাদুর সাহায্যে চিকিৎসার পার্থক্য করতে পারে না। অথচ প্রথমটি হলো ঈমানী চিকিৎসা আর দ্বিতীয়টি হলো শয়তানী চিকিৎসা।
আর বিষয়টি আরো জটিল হয়ে যায় যখন চতুর যাদুকর স্বীয় কুফরী যাদু মন্ত্রকে চুপে চুপে পড়ে; আর যখন এর মাঝে কোন আয়াত হয় তখন তা রুগীকে স্বজোরে পড়ে শুনায় যাতে সে মনে করে তাকে কুরআন দ্বারা চিকিৎসা করা হচ্ছে; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ব্যাপারটি তা নয়। এজন্যে রুগী যাদুকরের প্রত্যেক কথা বিশ্বাস করে মানা শুরু করে। সুতরাং এখানে এই পন্থাগুলো বর্ণনার এটিই উদ্দেশ্য যাতে মুসলমানগণ ভ্ৰষ্টতা হতে রক্ষা পায় এবং উক্ত ভন্ড অপরাধীদেরকে চিনতে পারে।