ইমাম রাযী, রাগেব ও অন্যান্য মনীষীদের যাদুবিদ্যার প্রকারভেদ সম্পর্কে গবেষণা ও প্রতিপাদনের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, তারা যাদুর মধ্যে এমন কিছুও অন্তর্ভুক্ত করেছেন যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়। তার কারণ হলো তারা তা যাদুর শাব্দিক/আভিধানিক অর্থের ভিত্তিতে করেছেন। অর্থাৎ যার কারণ সূক্ষ ও গোপনীয়। এ থেকে তারা আশ্চর্যজনক সৃষ্টি বা কিছু হাতের মার-প্যাচে করা হয়ে থাকে বা মানুষের মাঝে একে অপরের গোপনে যা লাগিয়ে থাকে এ ধরণের অনেক কিছুকে যাদুর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে যার কারণ সূক্ষ, অস্পষ্ট ও গোপনীয়।
উল্লেখিত বিষয়গুলি আমাদের আলোচ্য বিষয় নয়; বরং আমাদের এখানে আলোচ্য বিষয় ও লক্ষ্য কেন্দ্রিকভূত হবে প্রকৃত যাদুর মধ্যে, যে যাদুর ক্ষেত্রে যাদুকর সাধারণত ভরসা ও নির্ভর করে থাকে জ্বিন, শয়তানের উপর ।
আরো একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য হলো, যা ইমাম রাযী ও রাগেব বর্ণনা করেছেন যার নাম দেয়া হয় তারকার আধ্যাত্মিকতা বা কীর্তি; কিন্তু এক্ষেত্রেও বাস্তব কথা হলো, তারকা আল্লাহর এক সৃষ্টি, তার হুকুমের অধীন অতএব তারকার কোন সৃষ্টির উপর আধ্যাত্মিকতা বা নিজস্ব কোন প্রভাব নেই।
কেউ যদি বলেঃ আমরা তো প্রত্যক্ষ করে থাকি যে, কতিপয় যাদুকর যারা তাদের ধারণা মতে তারকার জন্য কিছু নাম উচ্চারণ করে তন্ত্রমন্ত্র পড়ে বা তার দিকে ইশারা-ইঙ্গিত করে ও সম্বোধন করে। যার ফলে দর্শকের সামনে যাদুক্রিয়াও বাস্তবরূপ নেয়?
তার উত্তরঃ যদি ব্যাপারটি এমনই হয় তবে এটি প্রকৃতপক্ষে তারকার প্রভাবে নয়; বরং তা শয়তানের প্রভাবে যাদুকরকে পথভ্রষ্ট করা ও ফিতনায় পতিত করার জন্যই হয়ে থাকে। যেমন বর্ণিত আছে যে, যখন তারা পাথরের মূর্তিকে সম্বোধন করত, তখন শয়তান সে মূর্তির ভেতর থেকে স্বশব্দে উত্তর দিত। আর তারা মনে করে যে, তা তাদের মা’বুদ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা নয়। তাই মানুষকে পথভ্রষ্ট করার বহুপস্থা রয়েছে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে মানুষ ও জ্বিন শয়তানের অনিষ্ট হতে রক্ষা করুন। আমীন।