আমরা দেখছি যে, সালাতের মধ্যে ব্যক্তিগত ও সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় দুটি দিক রয়েছে। সালাত ইসলামের অন্যতম রুকন। যে কোনো পরিস্থিতিতে ও যে কোনো স্থানে মুমিনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফরয আইন ইবাদত ‘‘সালাত’’ আদায় করা। আর সালাতের একটি বিশেষ দিক ‘‘জামা‘আত’’। মুমিনের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাত জামাআতে আদায় করা জরুরী। ফকীহগণের কেউ জামা‘আত ‘ফরয’, কেউ ‘ওয়াজিব’ এবং কেউ ‘ওয়াজিব পর্যায়ের সুন্নাত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তবে সকলেই একমত যে, বিশেষ ওজর ছাড়া ‘জামা‘আত’ পরিত্যাগ করে একাকী সালাত আদায় করা কঠিন গোনাহের কাজ। আর জুমুআর সালাত ও ঈদের সালাত জামাআতে আদায় করা শর্ত।
সুন্নাতের নির্দেশনা অনুসারে জামাআতের জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনা, যোগ্য ইমাম নিয়োগ ইত্যাদি মুমিনের ব্যক্তিগত ফরয ইবাদত নয়, রাষ্ট্র বা সমাজের সামষ্টিক ফরয বা ‘ফরয কিফায়া’ ইবাদত। এক্ষেত্রে যাদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা রয়েছে তারা অবহেলা করলে পাপী হবেন। ব্যক্তি মুমিন সাধ্যমত চেষ্টা, অন্যায়ের আপত্তি ও সত্যের দাওয়াত দিবেন। কিন্তু অন্যের পাপের কারণে বা অন্যের উপর রাগ করে নিজের ‘জামা‘আত’ রক্ষার দায়িত্ব নষ্ট করে নিজে পাপে লিপ্ত হবেন না। সমাজের পাপের প্রতিবাদে নিজে ‘জামাত তরকের’ পাপে লিপ্ত হওয়া ইসলামের নির্দেশনা সাথে সাংঘর্ষিক।