জাহিলী যুগে আরবে কোনো রাষ্ট্র-ব্যবস্থা ছিল না। তারা কবীলা বা গোত্রের আনুগত্যের মধ্যে বাস করতেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রথম সেখানে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেন। ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যবোধ, স্বাধীনতাবোধ, কবীলার আনুগত্য, রাষ্ট্রপ্রধানের অন্যায়, পাপ বা জুলুমের কারণে যেন রাষ্ট্রীয় ঐক্য, সংহতি ও শৃঙ্খলা বিঘ্ন না হয় সে জন্য তিনি বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। এ সকল নির্দেশনা অনুধাবনের জন্য এ বিষয়ক কয়েকটি পরিভাষা আলোচনা করা প্রয়োজন। এ পরিভাষাগুলির অন্যতম: ইমাম, বাইআত ও জামা‘আত। এ পরিভাষাগুলোর অর্থ ও ব্যবহার আলোচনা করেছি ‘‘ইসলামের নামে জাঙ্গিবাদ’’ ও ‘‘কুরআন-সুন্নাহ আলোকে ইসলামী আকীদা’’ গ্রন্থে। এখানে সংক্ষেপে বলা যায় যে, ইমাম (الإمام) শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘‘নেতা’’ (Leader)। ইসলামী পরিভাষায় সালাতের জামাআতের ইমাম ও রাষ্ট্রপ্রধান ইত্যাদি অর্থে ইমাম শব্দটি ব্যবহৃত হয়। তবে হাদীস শরীফ ও প্রথম শতাব্দীগুলির আকীদা ও ফিকহের পরিভাষায় ইমাম শব্দটি যখন উন্মুক্তভাবে ব্যবহৃত হয় বা ‘‘ইমামুল মুসলিমীন’’ মুসলিমগণের ইমাম বলা হয় তখন এর অর্থ রাষ্ট্রপ্রধান। হাদীসে, ফিকহে ও আকীদায় ‘ইমাম’ পরিভাষাটি একমাত্র এ অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে। রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে রাষ্ট্রীয় আনুগত্যের যে প্রতিজ্ঞা করা হয় তাকে ‘‘বাইআত’’ (البيعة) বলা হয়।

জামা‘আত (الجماعة) অর্থ ঐক্য বা ঐক্যবদ্ধ হওয়া। ঐক্যবদ্ধ জনগোষ্ঠী, জনগণ বা সমাজ (community, society) অর্থে তা অধিক ব্যবহৃত হয়। এর বিপরীত শব্দ ইফতিরাক (الافتراق), অর্থাৎ বিভক্তি বা দলাদলি। ফিরকা (الفرقة) অর্থ দল বা গোষ্ঠী। হাদীসে ‘‘জামা‘আত’’ বা ‘‘জামা‘আতুল মুসলিমীন’’ বলতে রাষ্ট্রীয় আনুগত্যের মধ্যে বসবাসকারী ঐক্যবদ্ধ জনগণ বা সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ বুঝানো হয়েছে।

নিষ্পাপ বা পাপমুক্ত রাষ্টপ্রধানের বাধ্যবাধকতা চিরন্তন সংঘাতের পথ খুলে দেয় এবং মুমিনকে অসাধ্য সাধনের পথে ধাবিত করে। এজন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সালাতের ও রাষ্টের ইমামতির জন্য ধার্মিক, সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগের উৎসাহ দিয়েছেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় ঐক্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পাপী ইমামের পাপের প্রতিবাদের পাশাপাশি আনুগত্য বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ক অনেক হাদীস উপর্যুক্ত গ্রন্থদ্বয়ে আলোচনা করেছি। এখানে কয়েকটি হাদীস উল্লেখ করছি।

মুআবিয়া (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:


مَنْ مَاتَ وَلَيْسَ عَلَيْهِ إِمَامٌ مَاتَ مِيْتَةً جَاهِلِيَّةً


‘‘কোনো একজন ইমামের (রাষ্ট্রপ্রধানের) আনুগত্য-বিহীন অবস্থায় যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করল সে জাহিলী মৃত্যু বরণ করল।’’[1]

আবু হুরাইরা (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:


مَنْ خَرَجَ مِنْ الطَّاعَةِ وَفَارَقَ الْجَمَاعَةَ فَمَاتَ مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً


‘‘যে ব্যক্তি ‘রাষ্ট্রীয় আনুগত্য’ থেকে বের হয়ে এবং ‘জামা‘আত’ বা ঐক্যবদ্ধ মুসলিম সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মৃত্যু বরণ করল সে জাহিলী মৃত্যু বরণ করল।’’[2]

মু‘আবিয়া (রা) তাঁর জীবদ্দশায় তাঁর পুত্র ইয়াযিদকে রাষ্ট্র প্রধান পদে মনোনয়ন দান করেন এবং তার পক্ষে রাষ্ট্রের নাগরিকদের থেকে বাইয়াত বা আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করেন। ৬০ হিজরীতে তাঁর ইন্তেকালের পরে ইয়াযিদ শাসনভার গ্রহণ করেন এবং চার বছর শাসন করে ৬৪ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন। তার শাসনামলে ৬৩ হিজরীতে মদীনার অধিবাসীগণ তার জুলুম, ইমাম হুসাইনের শাহাদত ইত্যাদি কারণে বিদ্রোহ করেন। তাদের বিদ্রোহ ছিল যুক্তিসঙ্গত, একান্তই আল্লাহর ওয়াস্তে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সে সময়ে জীবিত সাহাবীগণ বিদ্রোহে রাজী ছিলেন না। সহীহ মুসলিমে সংকলিত হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রা) মদীনার বিদ্রোহীদের নেতা আব্দুল্লাহ ইবন মুতি’র নিকট গমন করেন। তিনি তাঁকে সম্মানের সাথে বসতে অনুরোধ করেন। ইবন উমার (রা) বলেন: আমি বসতে আসিনি। আমি তোমাকে একটি হাদীস শুনাতে এসেছি। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি:


مَنْ خَلَعَ يَدًا مِنْ طَاعَةٍ لَقِيَ اللَّهَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لا حُجَّةَ لَهُ وَمَنْ مَاتَ وَلَيْسَ فِي عُنُقِهِ بَيْعَةٌ (رواية ثانية: مَاتَ بِغَيْرِ إِمَامٍ) مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً


‘‘যে ব্যক্তি ‘তাআত’ বা রাষ্ট্রীয় আনুগত্য থেকে নিজেকে বের করে নিল সে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে সাক্ষাত হলে নিজের জন্য কোন ওজর পেশ করতে পারবে না। আর যে ব্যক্তি ‘বাই‘আত’ (রাষ্ট্রীয় আনুগত্যের অঙ্গীকার)-বিহীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করল (অন্য বর্ণনায়: যে ব্যক্তি ইমাম-বিহীনভাবে মৃত্যুবরণ করল) সে জাহিলী মৃত্যু বরণ করল।’’[3]

ইবন আব্বাস (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:


مَنْ رَأَى مِنْ أَمِيرِهِ شَيْئًا يَكْرَهُهُ فَلْيَصْبِرْ عَلَيْهِ فَإِنَّهُ مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ شِبْرًا فَمَاتَ إِلا مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً


‘‘কেউ তার শাসক-প্রশাসক থেকে কোন অপছন্দনীয় বিষয় দেখলে তাকে ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। কারণ যদি কেউ জামা‘আতের (মুসলিম সমাজ বা রাষ্টের ঐক্যের) বাইরে এক বিঘতও বের হয়ে যায় এবং এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, তাহলে সে জাহিলী মৃত্যু বরণ করবে।’’[4]

এভাবে সরকারের অন্যায়ের প্রতিবাদ করার সাথে সাথে রাষ্ট্রীয় আনুগত্য বহাল রাখা এবং ইসলামবিরোধী নয় এরূপ বিষয়ে সরকারের আনুগত্য করাই ইসলামের নির্দেশ। উম্মু সালামা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:


إِنَّهُ يُسْتَعْمَلُ عَلَيْكُمْ أُمَرَاءُ فَتَعْرِفُونَ وَتُنْكِرُونَ فَمَنْ كَرِهَ فَقَدْ بَرِئَ وَمَنْ أَنْكَرَ فَقَدْ سَلِمَ وَلَكِنْ مَنْ رَضِيَ وَتَابَعَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلا نُقَاتِلُهُمْ قَالَ لا مَا صَلَّوْا


‘‘অচিরেই তোমাদের উপর অনেক শাসক-প্রশাসক আসবে যারা ন্যায় ও অন্যায় উভয় প্রকারের কাজ করবে। যে ব্যক্তি তাদের অন্যায়কে ঘৃণা করবে সে অন্যায়ের অপরাধ থেকে মুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি আপত্তি করবে সে (আল্লাহর অসন্তুষ্টি থেকে) নিরাপত্তা পাবে। কিন্তু যে এ সকল অন্যায় কাজ মেনে নেবে বা তাদের অনুসরণ করবে (সে বাঁচতে পারবে না।)’’ সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমরা কি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব না? তিনি বলেন, ‘‘না, যতক্ষণ তারা সালাত আদায় করবে।’’[5]

যদি কোনো নাগরিক তার সরকারের অন্যায় সমর্থন করেন বা অন্যায়ের ক্ষেত্রে সরকারের অনুসরণ করেন তবে তিনি সরকারের পাপের ভাগী হবেন। এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা, চাকরী, কর্ম বা রাষ্ট্রীয় আনুগত্যের কারণে কোনো নাগরিক পাপী হবে না। আউফ ইবন মালিক (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:


أَلا مَنْ وَلِيَ عَلَيْهِ وَالٍ فَرَآهُ يَأْتِي شَيْئًا مِنْ مَعْصِيَةِ اللَّهِ فَلْيَكْرَهْ مَا يَأْتِي مِنْ مَعْصِيَةِ اللَّهِ وَلا يَنْزِعَنَّ يَدًا مِنْ طَاعَةٍ


‘‘হুশিয়ার! তোমাদের কারো উপরে যদি কোনো শাসক-প্রশাসক নিযুক্ত হন এবং সে দেখতে পায় যে, উক্ত শাসক বা প্রশাসক আল্লাহর অবাধ্যতার কোনো কাজে লিপ্ত হচ্ছেন, তবে সে যেন আল্লাহর অবাধ্যতার উক্ত কর্মকে ঘৃণা করে, তবে সে আনুগত্য থেকে হাত গুটিয়ে নেবে না।’’[6]

আরো অনেক হাদীসে পক্ষপাতিত্ব, যুলুম ও পাপে লিপ্ত শাসক বা সরকারের প্রতি রাষ্ট্রীয় আনুগত্য বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরূপ শাসক বা সরকার কোনো ইসলাম বিরোধী নির্দেশ প্রদান করলে তা পালন করা যাবে না। আবার অন্যায় নির্দেশের কারণে বিদ্রোহ বা অবাধ্যতাও করা যাবে না। বরং রাষ্ট্রীয় সংহতি ও আনুগত্য বজায় রাখতে হবে। তবে শাসক বা প্রশাসক সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত সুস্পষ্ট কুফরীতে লিপ্ত হলে বিদ্রোহ বা আনুগত্য পরিত্যাগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রেও ‘‘তাকফীর’’ বিষয়ক ইসলামের মূলনীতি অনুসরণ করতে হবে।[7]

উল্লেখ্য যে, খারিজী ও শীয়াগণ ‘‘ইমাম’’, ‘‘জামআত’’ ইত্যাদি পরিভাষার বিকৃতি সাধন করেন। শিয়াগণ ‘‘ইমাম’’ শব্দটির অর্থ বিকৃত করে। সাহাবীগণ ও আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মতে ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা জনগণতান্ত্রিক। জনগণের পরামর্শের মাধ্যমে ইমাম, খলীফা বা শাসক নিয়োগ লাভ করবেন। সবচেয়ে যোগ্য বা মুত্তাকী হওয়াও আবশ্যক নয়। কিন্তু শীয়া বিশ্বাস অনুসারে ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা রাজতান্ত্রিক-যাজকতান্ত্রিক। রাষ্ট্রীয় ইমামত, খিলাফাত বা শাসকের পদ বংশগতভাবে নবী-বংশের পাওনা।

তারা দাবি করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর ওফাতের পরে মুসলিম রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব আলী (রা) ও তাঁর বংশের নির্ধারিত কয়েক ব্যক্তিকে প্রদান করেন। কিন্তু আবু বকর, উমার, উসমান ও অন্যান্য সকল সাহাবী (রাঃ) মুরতাদ হয়ে (নাঊযু বিল্লাহ!) ষড়যন্ত্র করে তাঁদেরকে বঞ্চিত করেন। কাজেই আলী বংশের এ মানুষগুলিই প্রকৃত ‘ইমাম’। তারা ‘‘ইমাম’’ পদবীকে রাষ্ট্রপ্রধানের বাইরে ১২ ইমাম বা ৭ ইমামের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেন। তাদের ইমামগণ লুক্কায়িত থাকতেন। বিশেষ করে তাদের বিশ্বাস অনুসারে দ্বাদশ ইমাম মুহাম্মাদ আল-মাহদী কিশোর বয়সে ২৬৫ হিজরী সালের দিকে গায়েব হয়ে গিয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত গাইবে থেকেই বিশ্ব শাসন করছেন। কাজেই ‘‘ইমাম’’-এর আনুগত্য বা বাইয়াত মুল বিষয় নয়, ‘‘পরিচয় জানা’’ মূল বিষয়। এজন্য তারা আনুগত্যের বদলে ‘‘পরিচয় জানা’’ মর্মে জাল হাদীস তৈরি করেন। এরূপ একটি জাল হাদীস:


مَنْ مَاتَ وَلَمْ يَعْرِفْ إِمَامَ زَمَانِهِ مَاتَ مِيْتَةً جَاهِلِيَّةً


‘‘যে ব্যক্তি তার যুগের ইমামকে না জেনে মরল সে জাহিলী মৃত্যু মরল।’’[8]

পক্ষান্তরে সহীহ হাদীসে ইমামের পরিচয় লাভ নয়, আনুগত্যের কথা বলা হয়েছে, তবে যুগের ইমাম নয়, বরং রাষ্ট্রের ইমাম।

খারিজীগণ তাদের মতের বিরোধী সকল মুসলিমকে কাফির বলেন। এজন্য তারা তাদের ‘দল’-কেই ‘‘জামা‘আতুল মুসলিমীন’’ বলে দাবি করতেন। তাদের মধ্য থেকে কাউকে নেতা নির্বাচন করে তাকেই ‘‘ইমাম’’ বলে গণ্য করতেন। এভাবে তারা জামাআত শব্দটিকে ‘ফিরকা’ অর্থে এবং ‘ইমাম’ শব্দটিকে ‘আমীর’ অর্থে ব্যবহার করেন। ইসলামে ‘জামা‘আত’ বা ঐক্যের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ‘ফিরকা’ ও ‘তাফার্রুক’, অর্থাৎ দল, বিভক্তি ও দলাদলি নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু খারিজীগণের ব্যবহারে ফিরকা বা দলকেই ‘জামা‘আত’ বলা হতে থাকল। উপরন্তু অনেকে ‘বিভিন্ন দলে বিভক্ত হওয়া’ বা ‘কোনো না কোনো দলে থাকা’-কে ফরয মনে করলেন এবং ফিরকার আমীরকেই ‘ইমাম’ বলতে লাগলেন। এভাবে ইসলাম নিষিদ্ধ ‘দলাদলি’-কে তারা ফরয বানিয়ে ফেললেন। তাঁরা ইসলাম নিষিদ্ধ একটি বিষয়কে ‘দীন’ বানালেন!

[1] আহমদ, আল-মুসনাদ, ৪/৯৬, আবু ইয়ালা আল-মাউসিলী, আল-মুসনাদ ১৩/৩৬৬, ইবনু হিব্বান, আস-সহীহ ১০/৪৩৪, তাবারানী, আল-মু‘জামুল কাবীর ১৯/৩৮৮, হাইসামী, মাজমাউয যাওয়াইদ ৫/২১৮, ২২৫। আলবানী, যিলালুল জান্নাহ ২/২৪৬। আলবানী হাদীসটির সনদ হাসান বলেছেন।

[2] সহীহ মুসলিম ৩/১৪৭৬-১৪৭৭ (কিতাবুল ইমারাহ, বাবুল আমরি বিলুযূমিল জামাআতি)।

[3] মুসলিম, আস-সহীহ ৩/১৪৭৮ (কিতাবুল ইমারাহ, বাবুল আমরি বিলুযূমিল জামাআতি); অন্য বর্ণনাটি: তায়ালিসী, আবু দাউদ, আল-মুসনাদ ১/২৫৯, নং ১৯১৩, আবু নুআইম ইসপাহানী, হিলইয়াতুল আউলিয়া ৩/২২৪। আবু নু‘আইম বলেন: এ বর্ণনাটির সনদ সহীহ।

[4] বুখারী, আস-সহীহ ৬/২৫৮৮, ২৬১২ (কিতাবুল ফিতান, বাবু কাওলিন নাবিয়্যি ﷺ সাতারাওনা বাদী উমূরান...কিতাবুল আহকাম, বাবুস সাময়ি..) মুসলিম, আস-সহীহ ৩/১৪৭৭ (কিতাবুল ইমারাহ, বাবুল আমরি বিলুযূমিল জামাআতি)

[5] মুসলিম, আস-সহীহ ৩/১৪৮০, ১৪৮১ (কিতাবুল ইমারাহ, বাবু উজূবিল ইনকার আলাল উমারা)

[6] মুসলিম, আস-সহীহ ৩/১৪৮২ (কিতাবুল ইমারাহ, বাবু খিয়ারিল আইম্মাহ ওয়া শিরারিহিম)

[7] বুখারী, আস-সহীহ ৬/২৫৮৮ (কিতাবুল ফিতান, বাবু কাওলিন নাবিয়্যি (ﷺ): সাতারাওনা বা’দী উমূরান..) মুসলিম, আস-সহীহ ৩/১৪৬৭ (কিতাবুল ইমারাহ, বাবুল ওয়াফা বিবাইঅতিল খুলাফা); দানী, আস-সুনানুল ওয়ারিদাতু ফিল ফিতান ১-৬ খন্ড।

[8] আলবানী, যায়ীফাহ ১/৫২৫।