এ মহিলা বনু আসাদ বিন খুযাইমা (রাঃ)-এর সঙ্গে সম্পর্কিত ছিলেন। তাছাড়া, তিনি ছিলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ফুফাতো বোন। পূর্বে তিনি যায়দ বিন হারিসার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন, যাঁকে রাসূলে কারীম (ﷺ)-এর পুত্র মনে করা হত। কিন্তু যায়দের সঙ্গে তাঁর সদ্ভাব সৃষ্টি না হওয়ার কারণে তিনি তাঁকে তালাক দিয়েছিলেন। ইদ্দত অতিক্রান্ত হওয়ার পর আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে সম্বোধন করে এ আয়াত নাজিল করেন:
(فَلَمَّا قَضَى زَيْدٌ مِّنْهَا وَطَرًا زَوَّجْنَاكَهَا) [الأحزاب: 37]
‘অতঃপর যায়্দ যখন তার (যায়নাবের) সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল তখন আমি তাকে তোমার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে দিলাম।’ [আহযাব (৩৩) : ৩৭]
তাঁর সম্পর্কেই সূরাহ আহযাবের কয়েকটি আয়াত অবতীর্ণ হয়েছিল। যাতে মুতাবান্না বা পৌষ্যপুত্রের বিতন্ডার মীমাংসা করা হয়। এর বিস্তারিত আলোচনা হবে পরে। পঞ্চম হিজরীর যুল ক্বা’দাহ মাসে কিংবা এর কিছু পূর্বে নাবী কারীম (ﷺ)-এর সঙ্গে যায়নাব (রাঃ)-এর বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল। তিনি অত্যন্ত ইবাদত গুজারিনী ছিলেন এবং সবচেয়ে বেশি দান-খয়রাত করতেন। ২০ হিজরীতে ৫৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। উম্মাহাতুল মু’মিনীনদের মধ্যে তিনিই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মৃত্যুর পর সর্বপ্রথম ইনতিকাল করেন। ‘উমার (রাঃ) তাঁর জানাযা পড়ান এবং বাক্বী’ কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।