সাফওয়ানের রক্ত মূল্যহীন সাব্যস্ত করা হয় নি, কিন্তু যেহেতু সে ছিল কুরাইশদের একজন বড় নেতা সেহেতু তার নিজ জীবনের ভয় ছিল যথেষ্ট এ কারণে সে পলায়ন করেছিল। উমায়ের বিন অহাব জোমাহী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে তার জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করেন। নাবী কারীম (ﷺ) তাকে আশ্রয় প্রদান করেন এবং এর প্রতীকস্বরূপ তাকে তাঁর সে পাগড়িটি প্রদান করেন মক্কায় প্রবেশ কালে যা তিনি নিজ মস্তকে বেঁধে রেখেছিলেন। উমায়ের যখন সাফওয়ানের নিকট পৌঁছল তখন সে জেদ্দা হতে ইয়ামান যাওয়ার উদ্দেশ্যে সমুদ্রে যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। উমায়ের তাকে ফিরিয়ে আনলেন। তাকে দু’ মাস সময় দেবার জন্য সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে অনুরোধ জানালে তিনি বললেন, ‘তোমাকে চার মাস দেয়া হল।’ এরপর সাফওয়ান ইসলাম গ্রহণ করেন। তার স্ত্রী পূর্বেই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। তাদের উভয়ের বিবাহ বন্ধন পূর্ববৎ বহাল রাখলেন।
ফুযালাহ একজন বীর পুরুষ ছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন তাওয়াফ করছিলেন তখন সে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর নিকট এসেছিল। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে তার গোপন কুমতলবের কথা বলে দিলে সে মুসলিম হয়ে যায়।