এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মাসজিদুল হারামে বসে পড়লেন। আলী (রাঃ) বলেছেন, ‘যার হাতে চাবি ছিল তিনি নাবীজী (ﷺ)-এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে বললেন, ‘হুজুর! আমাদের জন্য হাজীদের পানি পান করানোর সম্মানের সহিত কা‘বা ঘরের চাবি সংরক্ষণের সম্মানও একই সঙ্গে প্রদান করুন।’ আল্লাহ আপনার উপর রহম করুক। অন্য এক বর্ণনা মোতাবেক এ আরযটি আব্বাস (রাঃ) করেছিলেন। অতঃপর নাবী কারীম (ﷺ) বললেন, উসমান বিন ত্বালহাহ কোথায়? তাঁকে ডাকা হলে নাবী কারীম (ﷺ) বললেন, (هَاكَ مِفْتَاحَكَ يَا عُثْمَانُ، الْيَوْمَ يَوْمَ بِرٌّ وَوَفَاءٌ) উসমান! এ নাও তোমার চাবি। অদ্য পুণ্য এবং ওয়াদা পুরণের দিন। তাবাকাত ইবনু সা‘দ (রাঃ)-এর বর্ণনায় আছে যে, চাবি দেয়ার সময় নাবী কারীম (ﷺ) আরও বলেছিলেন,
(خُذُوْهَا خَالِدَةً تَالِدَةً، لَا يَنْزِعُهَا مِنْكُمْ إِلَّا ظَالِمٌ، يَا عُثْمَانُ إِنَّ اللهَ اِسْتَأَمنكُمْ عَلٰى بِيْتِهِ، فَكِلُوْا مِمَّا يَصِلُ إِلَيْكُمْ مِنْ هٰذَا الْبَيْتِ بِالْمَعْرُوْفِ
‘সর্বক্ষণের জন্যই তুমি এ চাবি গ্রহণ কর। তোমার নিকট থেকে এ চাবি সেই ছিনিয়ে নিবে যে অত্যাচারী হবে। উসমান! আল্লাহ নিজ ঘরের জন্য তোমাকে বিশ্বাসভাজন করেছেন। অতএব, আল্লাহর এ ঘরে ন্যায়সঙ্গত উপায়ে তুমি যা পাবে তা ভোগ করবে।’