সেই যুদ্ধের মধ্যে জা’ফর বিন আবূ ত্বালিব (রাঃ) খিদমতে নাবাবীতে উপস্থিত হন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আশয়ারী মুসলিমগণ অর্থাৎ আবূ মুসা (রাঃ) এবং তাঁর বন্ধুগণ (রাঃ)।
আবূ মুসা আশয়ারী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, ‘আমরা যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আবির্ভাব সম্পর্কে অবগত হলাম তখন আমাদের সম্প্রদায়ের পঞ্চাশ জন লোকসহ আমার ভাই ও আমি হিজরতের উদ্দেশ্যে একটি নৌকা করে যাত্রা করলাম খিদমতে নাবাবীতে পৌঁছার জন্য। কিন্তু আমাদের নৌকাটি নাজ্জাশীর দেশে নিয়ে গিয়ে আমাদের নামিয়ে দিল। জা’ফার (রাঃ) এবং তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে সেখানেই আমাদের সাক্ষাত হয়। তিনি বললেন যে, রাসূলুল্লাহ আমাদের এখানে প্রেরণ করেছেন, আপনারাও আমাদের সঙ্গে অবস্থান করুন। এ প্রেক্ষিতে আমরাও তাঁদের সঙ্গে অবস্থান করলাম এবং খিদমতে নাবাবীতে সে সময় পৌঁছতে পারলাম যখন তিনি খায়বার বিজয় করেছেন। নাবী কারীম (ﷺ) জা’ফার (রাঃ) ও তাঁর বন্ধুদের এবং আমাদের সঙ্গে আগত নৌকার আরোহীদের জন্যও গনীমতের অংশ নির্ধারণ করেছিলেন।[1] এছাড়া যাঁরা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন নি তাঁদের জন্য কোন হিসসা নির্ধারণ করা হয় নি।
জা’ফার (রাঃ) যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে উপস্থিত হলেন তখন তিনি তাঁকে খোশ আমদেদ জানিয়ে চুম্বন করে বললেন, (وَاللهُ مَا أَدْرِيْ بِأَيِّهِمَا أَفْرَحُ؟ بِفَتْحِ خَيْبَرَ أَمْ بِقُدُوْمِ جَعْفَرَ) ‘আল্লাহর কসম! আমি জানি না যে, আমার অধিক আনন্দ কিসের, খায়বার বিজয়ের না জাফরের আগমনের? [2]
এটা স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে, এ সকল লোকজনকে নিয়ে আসার জন্য রাসূলে কারীম (ﷺ) ‘আমর বিন উমাইয়া যামরী (রাঃ)-কে নাজ্জাশীর নিকট প্রেরণ করেছিলেন এবং তাঁকে বলে পাঠিয়েছিলেন যে, তিনি যেন ঐ সকল লোকজনকে তাঁর নিকট পাঠিয়ে দেন। ফলে নাজ্জাশী দুটি নৌকা করে তাঁদের মদীনার উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেন। এরা ছিলেন সর্বমোট ষোল জন। অধিকন্তু, কিছু সংখ্যক মহিলা এবং শিশুও ছিল সে দলে, আর অন্যান্য যাঁরা ছিলেন তাঁরা এর পূর্বেই মদীনায় ফিরে এসেছিলেন।[3]
[2] যাদুল মা‘আদ ২য় খন্ড ১৩৯ পৃঃ।
[3] তারীখে খুযরী ১ম খন্ড ১২৮ পৃঃ।