যেহেতু মুনাফিক্বগণ এবং দুর্বল প্রকৃতির মুসলিমগণ হুদায়বিয়াহর সফর হতে বিরত থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)’র সঙ্গ লাভের পরিবর্তে নিজ নিজ গৃহে অবস্থান করেছিল সেজন্য আল্লাহ তা‘আলা নাবী (ﷺ)-কে তাদের সম্পর্কে নির্দেশ প্রদান করে বলেন,
(سَيَقُوْلُ الْمُخَلَّفُوْنَ إِذَا انطَلَقْتُمْ إِلٰى مَغَانِمَ لِتَأْخُذُوْهَا ذَرُوْنَا نَتَّبِعْكُمْ يُرِيْدُوْنَ أَن يُبَدِّلُوْا كَلَامَ اللهِ قُل لَّن تَتَّبِعُوْنَا كَذَلِكُمْ قَالَ اللهُ مِن قَبْلُ فَسَيَقُوْلُوْنَ بَلْ تَحْسُدُوْنَنَا بَلْ كَانُوْا لَا يَفْقَهُوْنَ إِلَّا قَلِيْلًا) [الفتح: 15].
‘তোমরা যখন গানীমাতের মাল সংগ্রহ করার জন্য যেতে থাকবে তখন পিছনে থেকে যাওয়া লোকগুলো বলবে- ‘আমাদেরকেও তোমাদের সঙ্গে যেতে দাও। তারা আল্লাহর ফরমানকে বদলে দিতে চায়। বল ‘তোমরা কিছুতেই আমাদের সঙ্গে যেতে পারবে না, (খাইবার অভিযানে অংশগ্রহণ এবং সেখানে পাওয়া গানীমাত কেবল তাদের জন্য যারা ইতোপূর্বে হুদাইবিয়াহর সফর ও বাই‘আতে রিযওয়ানে অংশ নিয়েছে) এমন কথা আল্লাহ পূর্বেই বলে দিয়েছেন। তখন তারা বলবে- ‘তোমরা বরং আমাদের প্রতি হিংসা পোষণ করছ।’ (এটা যে আল্লাহর হুকুম তা তারা বুঝছে না) তারা খুব কমই বুঝে।’ [আল-ফাতহ (৪৮) : ১৫]
কাজেই রাসূলে কারীম (ﷺ) যখন খায়বার অভিযানের কথা ঘোষণা করলেন তখন ইরশাদ করলেন যে এ অভিযানে শুধু সে সকল ব্যক্তি অংশ গ্রহণ করতে পারবেন যাঁরা প্রকৃত জিহাদের জন্য আগ্রহী। এ ঘোষণার ফলে তাঁর সঙ্গে শুধু সে সকল লোকই যাওয়ার জন্য যোগ্য বিবেচিত হতে পারেন যাঁরা হুদায়বিয়াহর বৃক্ষের নীচে বাইয়াতে রিযওয়ানে শরীক হয়েছিলেন। তাঁরা সংখ্যায় ছিলেন মাত্র চৌদ্দশত জন।
ঐ সময়ে আবূ হুরাইরাহও (রাঃ) ইসলাম গ্রহণ করে মদীনায় আগমন করেছিলেন। এ সময় সিবা’ বিন ‘উরফুতাহ ফজরের জামাতে ইমামত করছিলেন। সালাত সমাপ্ত হলে আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) তাঁর খিদমতে উপস্থিত হলেন। তিনি তাঁর খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলেন। অতঃপর আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) খিদমতে নাবাবীতে উপস্থিতির জন্য খায়বার অভিমুখে যাত্রা করলেন। তিনি যখন খিদমতে নাবাবীতে উপস্থিত হলেন তখন খায়বার বিজয় পর্ব সমাপ্ত হয়েছে। রাসূলে কারীম (ﷺ) সাহাবায়ে কেরাম (রাযি.)-এর সঙ্গে আলোচনা করে আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)ও তাঁর বন্ধুগণকেও গণীমতের অংশ প্রদান করেন।