নাবী কারীম (ﷺ) আম্মানের সম্রাট জাইফার এবং তাঁর ভাই আবদের নামে একটি পত্র প্রেরণ করেন। তাদের উভয়ের পিতার নাম ছিল জুলান্দাই। পত্রের বিষয়বস্তু ছিল নিম্নরূপ :
(بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ . مِنْ مُحَمَّدٍ رَّسُوْلِ اللهِ إِلٰى جَيْفَرَ وَعَبْدِ ابْنِيْ الْجَلَنْدِيْ، سَلَامٌ عَلٰى مَنْ اِتَّبَعَ الْهُدٰي، أَمَّا بَعْدُ:
فَإِنِّيْ أَدْعُوْكُمَا بِدِعَايَةِ الْإِسْلَامِ، أَسْلِمَا تَسْلِمَا، فَإِنِّيْ رَسُوْلُ اللهَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى النَّاسِ كَافَّةً، لِأُنْذِرُ مَنْ كَانَ حَيًّا وَيَحِقُّ الْقَوْلُ عَلَى الْكَافِرِيْنَ، فَإِنَّكُمَا إِنْ أَقْرَرْتُمَا بِالْإِسْلَامِ وَلَّيْتُكُمَا، وَإِنْ أَبَيْتُمَا [أَنْ تُقِرَّا بِالْإِسلَامِ] فَإِنَّ مُلْكَكُمَا زَائِلٌ، وَخَيْلِيْ تَحِلُّ بِسَاحَتِكُمَا، وَتَظْهَرُ نُبُوَّتِيْ عَلٰى مُلْكِكُمَا)
বিসমিল্লাহির রহামানির রহীম
মুহাম্মাদ (ﷺ) বিন আব্দুল্লাহর পক্ষ হতে জালান্দাই’র দু’ পুত্র জাইফার এবং আবদের নামে।
শান্তি বর্ষিত হোক সে ব্যক্তির উপর যিনি হেদায়াতের অনুসরণ করে চলেন। অতঃপর আমি আপনাদের দু’জনকে ইসলামের দাওয়াত দিতেছি। ইসলাম গ্রহণ করুন, শান্তিতে থাকবেন। কারণ, আমি আল্লাহর রাসূল হিসেবে বিশ্বমানবের নিকট প্রেরিত হয়েছি যাতে জীবিত ব্যক্তিদের শেষ পরিণতির বিভীষিকা হতে সতর্ক করে দেই এবং কাফিরদের উপর আল্লাহর কথা সত্য প্রমাণিত হয়। যদি আপনারা দুইজন ইসলামের দাওয়াত গ্রহণ করেন তবে আপনাদেরকেই শাসক এবং গভর্ণর নিযুক্ত করে দিব। কিন্তু আপনারা যদি ইসলামের দাওয়াত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন তাহলে আপনাদের রাজত্ব শেষ হয়ে যাবে। আপনাদের রাজত্বে ঘোড়সওয়ার সৈন্যদের আক্রমণ পরিচালিত হবে এবং আপনাদের রাজত্বের উপর আমার নবুয়ত জয়যুক্ত হবে।
এ পত্র বহনের জন্য প্রতিনিধি হিসেবে ‘আমর বিন আসকে মনোনীত করা হয়। তিনি বর্ণনা করেছেন, ‘মদীনা থেকে যাত্রা করে আমি আম্মানে গিয়ে পৌঁছি এবং আবদের সঙ্গে সাক্ষাত করি। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনিই অধিক দূরদর্শী এবং কোমল স্বভাবের ছিলেন। আমি বললাম, আমি আপনার এবং আপনার ভাইয়ের নিকট রাসূলে কারীম (ﷺ)-এর প্রতিনিধি হিসেবে আগমন করেছি।’ তিনি বললেন, বয়স এবং রাজত্ব উভয় দিক দিয়েই আমার ভাই আমার চাইতে বড় এবং আমার ঊর্ধ্বতন। এ কারণে আমি আপনাকে তাঁর নিকট পৌঁছে দিচ্ছি যেন তিনি আপনার পত্রখানা পাঠ করেন।
অতঃপর তিনি বললেন, ‘বেশ! আপনি কোন কথার দাওয়াত দিচ্ছেন?’
আমি বললাম, ‘আমরা এক আল্লাহর প্রতি আহবান জানাচ্ছি যিনি একক এবং অদ্বিতীয়, যাঁর কোন অংশীদার নেই এবং যিনি ব্যতীত আর কেউ উপাসনার উপযুক্ত নয়। আমরা বলছি যে, আল্লাহ ব্যতীত অন্য যাদের উপাসনা করা হচ্ছে তাদের পরিত্যাগ করুন এবং সাক্ষ্য প্রদান করুন যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর বান্দা এবং প্রেরিত পুরুষ।’
আবদ বললেন, ‘হে ‘আমর! আপনি নিজ সম্প্রদায়ের নেতার পুত্র। বলুন আপনার পিতা কী কী করেছেন? কারণ, তাঁর কার্যক্রম হবে আমাদের অনুসরণীয়।’
আমি বললাম, তিনি তো মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর উপর বিশ্বাস স্থাপন ছাড়াই মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছেন। কিন্তু আমার দুঃখ হচ্ছে, যদি তিনি ইসলাম গ্রহণ করতেন এবং নাবী (ﷺ)-এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতেন। তাহলে কতই না ভাল হত! আমিও তাঁর পূর্বে তাঁর মতোই ছিলাম। কিন্তু আল্লাহ আমার প্রতি ইসলামের হিদায়াত প্রদান করেছেন।’
অবদ বললেন, ‘আপনি কখন তার আনুগত্য স্বীকার করেছেন?’
আমি বললাম, ‘অল্প কিছু দিন হল।’’
তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি কোথায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন?’
আমি বললাম, ‘নাজ্জাশীর নিকট। তিনিও ইসলাম গ্রহণ করেছেন।’
আবদ জিজ্ঞেস করলেন, ‘তাঁর সম্প্রদায় ও সাম্রাজ্যের লোকেরা কী করল?’
আমি বললাম, তাঁকে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত রেখে তাঁর আনুগত্য করে।’
তিনি বললেন, মন্ত্রী পরিষদ এবং রাহিবগণও কি আনুগত্য করেছে?’
আমি বললাম, ‘হ্যাঁ’।
আবদ বললেন, ‘হে ‘আমর, এ কী বলছেন। কারণ, মানুষের কোন অভ্যাস মিথ্যার চাইতে অপমানজনক আর কিছুই নেই।’
আমি বললাম, ‘আমি মিথ্যা বলছি না এবং ‘আমর মিথ্যা বলা বৈধ মনে করে না।’
আবদ বললেন, ‘আমি মনে করছি, হিরাক্বল নাজ্জাশীর ইসলাম গ্রহণের খবর জানেন না।’
আমি বললাম, ‘কেন নয়?’
আবদ বললেন, আপনি এ কথা কিভাবে জানলেন?
আমি বললাম, নাজ্জাশী হিরাক্বলকে কর দিতেন কিন্তু যখন তিনি ইসলাম গ্রহণ করলেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলেন তখন বললেন, ‘আল্লাহর কসম! এখন যদি তিনি আমার নিকট একটি টাকাও চান তবুও আমি তা দেব না।’
হিরাক্বল যখন এ সংবাদ অবগত হলেন, তখন তাঁর ভাই ইয়ানক বললেন, ‘আপনার দাস যদি আপনাকে টাকা না দেয় তাহলে কি আপনি তাকে ছেড়ে দেবেন? তাছাড়া, সে যদি আপনার পরিবর্তে অন্য এক জনের দ্বীন অবলম্বন করে? হিরাক্বল বললেন, ‘এ ব্যক্তি যিনি এক নতুন দ্বীন পছন্দ করেছেন এবং নিজের জন্য তা অবলম্বন করেছেন। এখন আমি তার কী করতে পারি? আল্লাহর কসম! যদি আমার নিজের রাজত্বের লোভ না থাকত তাহলে তিনি যা করেছেন আমিও তাই করতাম।’
আবদ বললেন, ‘‘আমর দেখুন! আপনি কী বলছেন?’
আমি বললাম, ‘আল্লাহর কসম! আমি আপনাকে সত্যই বলছি।’ আবদ বললেন, ভাল, তাহলে আমাকে বলুন, ‘তিনি কোন্ কথা কিংবা কাজের দির্দেশনা দিচ্ছেন এবং কোন্ কথা কিংবা কাজ থেকে নিষেধ করছেন।’
আমি বললাম, ‘মহিমান্বিত আল্লাহর আনুগত্যের নির্দেশ দিচ্ছেন এবং তাঁর অবাধ্যতা থেকে নিষেধ করছেন, সৎ এবং আত্মীয়তা সম্পর্ক স্থাপনের নির্দেশ প্রদান করছেন। অন্যায়, অনাচার, ব্যভিচার, মদ্যপান, প্রস্ত্তরমূর্তি এবং ক্রুশের আরাধনা বা উপাসনা থেকে বিরত থাকার আদেশ দিচ্ছেন।’
আবদ বললেন, ‘যে সব কথার প্রতি আহবান জানাচ্ছেন তা কতই না উত্তম! যদি আমার ভাইও এ কথার উপর আমার অনুসরণ করত তাহলে যানবাহনে চড়ে যাত্রা করতাম। এমন কি মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর উপর বিশ্বাস স্থাপন করতাম এবং সত্যায়ন করতাম। কিন্তু আমার ভাইয়ের রাজত্বের মোহ এতই বেশী যে কিছুতেই কারো অধীনতা স্বীকার করতে তিনি রাজী নন।’
আমি বললাম, ‘যদি সে ইসলাম গ্রহণ করে তবে রাসূলে কারীম (ﷺ) তাঁর সম্প্রদায়ের উপর তাঁর রাজত্ব স্থায়ী করে দেবেন এবং তাদের যারা সম্পদশালী তাদের নিকট থেকে সাদকা গ্রহণ করে দরিদ্রদের মধ্যে তা বন্টন ও বিতরণ করে দেবেন।’
আবদ বললেন, ‘এ তো বড় ভাল কথা। আচ্ছা বল তো সাদকা কী?
প্রত্যুত্তরে আমি সম্পদশালীদের বিভিন্ন সম্পদের মধ্য থেকে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ বাহির করে নিয়ে দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণের ব্যাপারটিকে যে সাদকা বলা হয় সে প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। যখন উটের প্রসঙ্গ এল তখন তিনি বললেন, ‘হে ‘আমর! আমাদের সে চতুষ্পদ জন্তুর মধ্য থেকেও কি সাদকা দিতে হবে যা নিজেই বিচরণ করতে থাকে?’
আমি বললাম, ‘হ্যাঁ’।
আবদ বললেন, ‘আল্লাহর শপথ! আমার মনে হয় না যে, আমার সম্প্রদায় স্বীয় রাজত্বের প্রশস্ততা এবং সংখ্যাধিক্যতা সত্ত্বেও এটা মেনে নেবেন।’
‘আমর বিন আসের বর্ণনায় আছে যে, ‘আমি তাঁর বারান্দায় কয়েক দিন অবস্থান করলাম। তিনি তাঁর ভাইয়ের নিকট গিয়ে আমার সকল কথা তাঁর নিকট ব্যক্ত করলেন। অতঃপর একদিন তিনি আমাকে তাঁর নিকট ডেকে পাঠালেন। আমি ভিতরে প্রবেশ করলে প্রহরীগণ আমার বাহু ধরে বসল। তিনি বললেন, ওকে ছেড়ে দাও। আমাকে ছেড়ে দেয়া হল। আমি বসতে চাইলাম কিন্তু প্রহরীগণ আমাকে বসতে দিল না। আমি সম্রাটের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে তিনি বললেন, ‘আপনার কথা কী তা বলে দিন।’ আমি তখন মোহরকৃত পত্রখানা তাঁর হস্তে সমর্পণ করলাম।
তিনি সীল মোহর খুলে পত্রখানা পাঠ করলেন। পাঠ শেষ হলে পত্রখানা তিনি তাঁর ভাইয়ের হাতে দিলেন। তাঁর ভাইও তা পাঠ করলেন। এ প্রসঙ্গে আমি লক্ষ্য করলাম যে সম্রাটের তুলনায় তাঁর ভাই ছিলেন অধিক মাত্রায় কোমল স্বভাবের।
সম্রাট জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমাকে বল, কুরাইশগণ কিরূপ আচরণ অবলম্বন করেছে?’
আমি বললাম, ‘সকলেই তাঁর আনুগত্য স্বীকার করেছে, কেউ কেউ আল্লাহর দ্বীনের প্রতি উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত হয়ে এবং অন্যেরা তরবারীর দ্বারা পরাভূত হয়ে।’
সম্রাট জিজ্ঞেস করলেন, ‘তাঁর সঙ্গে কেমন লোকেরা আছেন?’
আমি বললাম, ‘ঐ সকল লোকেরা আছেন যাঁরা পূর্ণ সন্তুষ্টির সঙ্গে স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং সব কিছুর উপর একে প্রধান্য দিয়েছেন। তাঁরা আল্লাহর প্রদত্ত হিদায়াত এবং আপন বিবেকের আলোকে এ কথা উপলব্ধি করলেন যে পূর্বে তাঁরা ভ্রষ্টতার মধ্যে নিপতিত ছিলেন। আমি জানি না যে, এ অঞ্চলে এখন আপনি ছাড়া আর অন্য কেউ দ্বীনের বাহিরে অবশিষ্ট আছে। আপনি যদি ইসলাম গ্রহণ করে মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর আনুগত্য না করেন তাহলে ঘোড়সওয়ার বাহিনী আপনাকে পদদলিত করবে এবং আপনাদের সজীবতাকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলবে। ইসলাম গ্রহণ করুন নিরাপদে থাকবেন এবং রাসূলে কারীম (ﷺ) আপনাকে আপনার কওমের শাসক নিযুক্ত করবেন। ইসলাম গ্রহণ করলে কোন ঘোড়সওয়ার কিংবা পদাতিক আপনার এলাকায় প্রবেশ করবে না।’
সম্রাট বললেন, ‘আমাকে একটু চিন্তাভাবনা করার সময় দাও। আগামী কাল আবার এসো।’ অতঃপর আমি তাঁর ভাইয়ের নিকট আবার ফিরে গেলাম।
তিনি বললেন, ‘‘আমর! আমার আশা হচ্ছে, যদি রাজত্বের লোভ জয়ী না হয় তাহলে সে ইসলাম গ্রহণ করে নেবে।’
‘আমর বিন আস (রাঃ) বললেন, ‘দ্বিতীয় দিবস পুনরায় সম্রাটের নিকট গেলাম কিন্তু তিনি অনুমতি প্রদানে অস্বীকার করলেন এ কারণে আমি তাঁর ভাইয়ের নিকট ফিরে গিয়ে বললাম যে, সম্রাটের সাক্ষাত লাভ আমার পক্ষে সম্ভব হয় নি। এ প্রেক্ষিতে তাঁর ভাই আমাকে তাঁর নিকট পৌঁছে দিলেন।
তিনি বললেন, ‘তোমার দাওয়াতের ব্যাপারে আমি চিন্তাভাবনা করেছি। যদি আমি রাজত্ব এমন এক ব্যক্তির নিকট সমর্পণ করে দেই যাঁর নিপুণ ঘোড়সওয়ার এখানে পৌঁছেও নি তখন আমি আরবের মধ্যে সব চাইতে দুর্বল ব্যক্তিতে পরিগণিত হয়ে যাব। পক্ষান্তরে, যদি তাঁর ঘোড়সওয়ার বাহিনী এখানে পৌঁছে যায় তাহলে এমন এক সংগ্রাম আরম্ভ হয়ে যাবে যেমনটি ইতোপূর্বে তাঁদের সঙ্গে আর কখনো হয় নি।’
আমি বললাম, ‘আচ্ছা তাহলে আগামী কাল আমি ফেরত চলে যাচ্ছি।’ যখন আমার ফেরত যাওয়ার ব্যাপারটি তাঁদের মনে একটি স্থির বিশ্বাসের সৃষ্টি করল তখন তিনি তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে এককভাবে আলাপ আলোচনা করলেন এবং বললেন, ‘এ পয়গম্বর যাঁদের উপরী বিজয়ী হয়েছেন তাঁদের তুলনায় প্রকৃতপক্ষে আমাদের তেমন কোন স্থানই নেই। অধিকন্তু, তিনি যাঁদের নিকট দাওয়াত প্রেরণ করেছেন তাঁরা সকলেই সে দাওয়াত গ্রহণ করে নিয়েছেন।
অতএব, পরবর্তী দিবস সকালে তাঁরা পুনরায় আমাকে আহবান জানালেন। আমি সেখানে উপস্থিত হলে সম্রাট এবং তার ভাই উভয়েই ইসলাম গ্রহণ করলেন এবং নাবী কারীম (ﷺ)-এর উপর বিশ্বাস স্থাপন করলেন। সাদকা গ্রহণ করা এবং লোকজনদের মধ্যে মীমাংসা করার জন্য আমাকে স্বাধীন ভাবে ছেড়ে দিলেন এবং আমার বিরুদ্ধাচারীদের বিরুদ্ধে সাহায্যকারীর ভূমিকা অবলম্বন করলেন।[1]
এ ঘটনা সূত্রে এটা জানা যাচ্ছে যে, অন্যান্য শাসক কিংবা বাদশাহের তুলনায় এ দুই জনের নিকট প্রেরিত পত্র বেশ বিলম্বে কার্যকর হয়েছিল। সম্ভবত এটি ছিল মক্কা বিজয়ের পরের ঘটনা।
উপরি উল্লেখিত পত্র সমূহের মাধ্যমে নাবী কারীম (ﷺ) পৃথিবীর অধিকাংশ রাজা বাদশাহর নিকট ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিয়েছিলেন। এ প্রেক্ষাপটে কেউ কেউ ইসলামের দাওয়াত গ্রহণ করেছিলেন, কেউ কেউ অস্বীকারও করেছিলেন। কিন্তু এর ফলে এ সুবিধাটুকু হল যে, যারা দ্বীন অস্বীকার করল তারাও এ ব্যাপারে মনোযোগী হল এবং নাবী কারীম (ﷺ)-এর নাম ও তাঁর দ্বীন তাদের নিকট বেশ পরিচিত হয়ে উঠল।