বদর ও উহুদ মধ্যবর্তী সময়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নেতৃত্বাধীনে এটাই সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান। এটা তৃতীয় হিজরীর মুহরম মাসে সংঘটিত হয়।

এ অভিযানের কারণ : মদীনার গোয়েন্দা বাহিনী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে খবর দেন যে, বনু সা‘লাবাহ ও মুহারিব গোত্রের এক বিরাট বাহিনী মদীনার উপর আক্রমণ করার জন্য একত্রিত হচ্ছে। এ খবর শোনা মাত্রই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুসলিমগণকে প্রস্তুতির নির্দেশ দেন এবং আরোহী ও পদাতিক মিলে মোট চারশ জন সৈন্যের বাহিনী নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। উসমান ইবনু আফফান (রাঃ)-কে মদীনায় নিজের স্থলাভিষিক্ত করেন।

পথে সাহাবীগণ বনু সা‘লাবাহ গোত্রের জাববার নামক এক ব্যক্তিকে পাকড়াও করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে হাযির করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ইসলামের দাওয়াত দেন এবং সে ইসলাম গ্রহণ করে। এরপর তিনি তাকে বিলাল (রাঃ)-এর বন্ধুত্বে দিয়ে দেন এবং সে পথ প্রদর্শক রূপে মুসলিমগণকে শত্রুদের অবস্থানস্থল পর্যন্ত রাস্তা দেখিয়ে নিয়ে যায়।

এদিকে শত্রুরা মদীনার সৈন্য বাহিনীর আগমনের খবর পেয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে এবং আশে পাশের পাহাড় গুলোতে লুকিয়ে যায়। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখেন এবং সেনাবাহিনী সহ ঐ জায়গা পর্যন্ত গমন করেন যেটাকে শত্রুরা নিজেদের দলের একত্রিত হওয়ার স্থান নির্বাচিত করেছিল। এটা ছিল আসলে একটি প্রস্রবণ যা যূ ‘আমর নামে পরিচিত ছিল। বেদুইনদের উপর প্রভাব প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠিত এবং মুসলিমদের শক্তি সামর্থ্য সম্পর্কে তাদের ওয়াকিবহাল করানোর জন্য তৃতীয় হিজরীর পূর্ণ সফর মাসটি তিনি সেখানে অতিবাহিত করেন। তারপর মদীনায় ফিরে আসেন।[1]

[1] ইবুন হিশাম ২য় খন্ড ৪৬ পৃঃ, যা’দুল মা’আদ ২য় খন্ড ৯১ পৃঃ, কথিত আছে যে, দুা’সুর অথবা গাওরসি মুহারিবী এ যুদ্ধেই নাবী (সাঃ)-কে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সঠিক কথা হচ্ছে এটা অন্য এক যুদ্ধের ঘটনা। সহীহুল বুখারীর ২য় খন্ডের ৫৯৩ পৃঃ।