‘শায’-এর অনুশীলন
২১-নং পঙক্তির অধীন শায সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আসছে, যার সারাংশ: ‘মাকবুল বা সেকাহ রাবি যদি তাদের চেয়ে উত্তম বা অধিক সেকাহ রাবিদের বিপরীত বর্ণনা করে, তাহলে তাদের বর্ণনাকে শায বলা হয়’। মকবুল অর্থ গ্রহণযোগ্য রাবি, যার একা বর্ণিত হাদিস ন্যূনতম পক্ষে ‘হাসানে’-র মর্যাদা রাখে। মকবুলের চেয়ে উত্তম রাবিকে সেকাহ বলা হয়, যার একা বর্ণিত হাদিস ‘সহি’-র মর্যাদা রাখে। উদাহরণে পেশকৃত মিসওয়াকের হাদিসে সকল রাবি সেকাহ। তাদের বিরোধিতা করে তাদের চেয়ে অধিক সেকাহ রাবি কোনো হাদিস বর্ণনা করেনি। তাই হাদিসটি শায নয়। অতএব মিসওয়াকের হাদিসে ‘সহি’র চতুর্থ শর্ত বিদ্যমান।