১। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন,
مَنْ كَانَ يُرِيدُ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا نُوَفِّ إِلَيْهِمْ أَعْمَالَهُمْ فِيهَا وَهُمْ فِيهَا لَا يُبْخَسُونَ ﴿15﴾ أُولَئِكَ الَّذِينَ لَيْسَ لَهُمْ فِي الْآَخِرَةِ إِلَّا النَّارُ وَحَبِطَ مَا صَنَعُوا فِيهَا وَبَاطِلٌ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ ﴿16﴾ ﴿هود: 15-16﴾
‘‘যারা শুধু দুনিয়ার জীবন এবং এর চাকচিক্য কামনা করে, আমি তাদের সব কাজের প্রতিদান দুনিয়াতেই দিয়ে থাকি।’’ (হুদ : ১৫-১৬)
২। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে রাসূল (স:) এরশাদ করেছেন,
تعس عبد الدينار، تعس عبد الدرهم، تعس عبد الخميصة، تعس عيد الخميلة إن أعطى رضي وإن لم يعط سخط، وإذا شيك فلا انتقش، طوبى لعبد أخذ بعنان فرسه فى سبيل الله اشعث راسه، مغبرة فدماه إن كان فى الحراسة، كان فى الحراسة، وإن كان فى الساقة كان فى الساقة، إن استأذن لم نؤذن له وإن شفيع لم يشفع .
‘‘দীনার ও দেরহাম অর্থাৎ টাকা-পয়সার পূজারীরা ধ্বংস হোক। রেশম পূজারী [পোষাক- বিলাসী] ধ্বংস হোক। তাকে দিতে পারলেই খুশী হয়, না দিতে পারলে রাগান্বিত হয়। সে ধ্বংস হোক, তার আরো খারাপ হোক, কাঁটা-ফুটলে সে তা খুলতে সক্ষম না হয় [অর্থাৎ সে বিপদ থেকে উদ্ধার না পাক।] সে বান্দা সৌভাগ্যের অধিকারী যে আল্লাহর রাস্তায় তার ঘোড়ার লাগাম ধরে রেখেছে, মাথার চুলগুলোকে এলো-মেলো করেছে আর পদযুগলকে করেছে ধূলিমলিন। তাকে পাহারার দায়িত্ব দিলে সে পাহারাতেই লেগে থাকে। সেনাদলের শেষ ভাগে তাকে নিয়োজিত করলে সে শেষ ভাগেই লেগে থাকে। সে অনুমতি চাইলে তাকে অনুমতি দেয়া হয় না। তার ব্যাপারে সুপারিশ করলে তার সুপারিশ গৃহীত হয় না।
এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়ঃ
১। আখেরাতের আমল দ্বারা মানুষের দুনিয়া হাসিলের ইচ্ছা।
২। সূরা হুদের ১৫ ও ১৬ নং আয়াতের তাফসীর।
৩। একজন মুসিলমকে দিনার- দেরহাম ও পোষাকের বিলাসী হিসেবে আখ্যায়িত করা।
৪। উপরোক্ত বক্তব্যের ব্যাখ্যা হচ্ছে, বান্দাহকে দিতে পারলেই খুশী হয়, না দিতে পারলে অসন্তুষ্ট হয়। এ ধরনের লোক দুনিয়াদার।
৫। দুনিয়াদারকে আল্লাহর নবী এ বদদোয়া করেছেন, ‘‘সে ধ্বংস হোক, সে অপমানিত হোক বা অপদস্ত হোক।’’
৬। দুনিয়াদারকে এ বলেও বদদোয়া করেছেন, ‘‘তার গায়ে কাঁটা ফুটুক এবং তা সে খুলতে না পারুক।’’
৭। হাদীসে বর্ণিত গুণাবলীতে গুণান্বিত মুজাহিদের প্রশংসা করা হয়েছে। সে সৌভাগ্যের অধিকারী বলে জানান হয়েছে।