১। কুতুন বিন কুবাইসা তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে এ কথা বলতে শুনেছেন,
أن العيافة والطرق والطيرة من الجبت
‘‘নিশ্চয়ই ‘ইয়াফা’, ‘তারক’ এবং ‘তিয়ারাহ’ হচ্ছে ‘জিবত’ এর অন্তর্ভূক্ত।
আউফ বলেছেন, ‘ইয়াফা’ হচ্ছে পাখি উড়িয়ে ভাগ্য গণনা করা। ‘তারক’ হচ্ছে মাটিতে রেখা টেনে ভাগ্য গণনা করা। হাসান বলেছেন, ‘জিবত’ হচ্ছে শয়তানের মন্ত্র। এ বর্ণনার সনদ সহীহ (আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনু হিববান)
২। ইবনে আববাস রা. থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
من اقتبس شعبة من النجوم فقد اقتبس شعبة من السحر (رواه أبوداود)
‘‘যে ব্যক্তি জ্যোতির্বিদ্যার কিছু অংশ শিখলো সে মূলতঃ যাদুবিদ্যারই কিছু অংশ শিখলো। এ [জ্যোতির্বিদ্যা] যত বাড়বে যাদু বিদ্যাও তত বাড়বে।’’ (আবু দাউদ)
৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে একটি হাদীসে বর্ণিত আছে
من عقد عقدة ثم نفث فيها فقد سحر، ومن سحر فقد أشرك: ومن تعلق شيئا وكل إليه
‘‘যে ব্যক্তি গিরা লাগায় অতঃপর তাতে ফুঁক দেয় সে মূলতঃ যাদু করে। আর যে ব্যক্তি যাদু করে সে মূলতঃ শিরক করে আর যে ব্যক্তি কোন জিনিস [তাবিজ-কবজ] লটকায় তাকে ঐ জিনিসসের দিকেই সোপর্দ করা হয়। (নাসায়ী)
৪। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
آلا هل أنبئكم ما العضة؟ هى النميمة ألقالة بين الناس (رواه مسلم)
‘‘আমি কি তোমাদেরকে যাদু কি-এ সম্পর্কে সংবাদ দেব না? তা হচ্ছে চোগোলখুরী বা কুৎসা রটনা করা অর্থাৎ মানুষের মধ্যে কথা-লাগানো বা বদনাম ছড়ানো।’’ (মুসলিম)
যাদুর শ্রেণীভূক্ত আরেকটি বিষয় অনেক মানুষের মধ্যেই পাওয়া যায়, তা হচ্ছে চোগলখুরী বা কুৎসা রটনা করা। মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি, প্রিয়জনদের অন্তরে শক্রতা সৃষ্টি।
৫। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, إن من البيان لسحرا
নিশ্চয় কোন কোন কথার মধ্যে যাদু আছে। (বুখারি ও মুসলিম)
এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়ঃ
১। ‘ইয়াফা’, ‘তারক’ এবং ‘তিয়ারাহ’ জিবতের অন্তর্ভূক্ত।
২। ‘ইয়াফা’, ‘তারক’, এবং ‘তিয়ারাহ’ এর তাফসীর।
৩। জ্যোতির্বিদ্যা যাদুর অন্তর্ভুক্ত।
৪। ফুঁক সহ গিরা লাগানো যাদুর অন্তর্ভুক্ত।
৫। কুৎসা রটনা করা যাদুর শামিল।
৬। কিছু কিছু বাগ্মীতাও যাদুর অন্তর্ভূক্ত ।