১। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন,
لَا تَقُمْ فِيهِ أَبَدًا. (التوبة: ১০৮)
‘‘হে নবী, আপনি কখনো সেখানে দাঁড়াবেন না।’’ তাওবাহ . ১০৮)
২। সাহাবী ছাবিত বিন আদ্দাহহাক (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন,
نذر رجل أن ينحر إبلا ببوانه فسأل النبي صلى الله عليه وسلم فقال: هل كان فيها وثن من أوثان الجاهلية يعبد؟ قالو: لا قال: فهل كان فيها عيد من أعيادهم قالو: لا، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم أوف بنذرك، فإنه لا وفاء لنذر فى معصية الله، ولافيما لا يملك ابن آدم. (رواه أبو داود وإسناده على شرطهما)
এক ব্যক্তি বুওয়ানা নামক স্থানে একটি উট কুরবানী করার জন্য মান্নত করলো। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘সে স্থানে
এমন কোন মূর্তি ছিল কি, জাহেলী যুগে যার পূজা করা হতো’’ সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘না,। তিনি বললেন, ‘‘সে স্থানে কি তাদের কোন উৎসব বা মেলা অনুষ্ঠিত হতো? ‘‘তাঁরা বললেন, ‘না’ [অর্থাৎ এমন কিছু হতোনা] তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তুমি তোমার মান্নত পূর্ণ করো।’’ তিনি আরো বললেন, ‘‘আল্লাহর নাফরমানীমূলক কাজে মান্নত পূর্ণ করা যাবে না। আদম সন্তান যা করতে সক্ষম নয় তেমন মান্নতও পূরা করা যাবে না। (আবু দাউদ)
এ অধ্যায় থেকে যে সব বিষয় জানা যায় তা নিম্নরূপঃ
১। لا تقم فيه أبدا এর তাফসীর।
২। দুনিয়াতে যেমনি ভাবে পাপের [ক্ষতিকর] প্রভাব পড়তে পারে, তেমনিভাবে [আল্লাহর] আনুগত্যের [কল্যাণময়] প্রভাবও পড়তে পারে।
৩। দুর্বোধ্যতা দূর করার জন্য কঠিন বিষয়কে সুস্পষ্ট ও সহজ বিষয়ের দিকে নিয়ে যাওয়া যায়।
৪। প্রয়োজন বোধে ‘‘মুফতী’’ জিজ্ঞাসিত বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ [প্রশ্ন কারীর কাছে] চাইতে পারেন।
৫। মান্নতের মাধ্যমে কোন স্থানকে খাস করা কোন দোষের বিষয় নয়, যদি তাতে শরিয়তের কোন বাধা-বিপত্তি না থাকে।
৬। জাহেলী যুগের মূর্তি থাকলে তা দূর করার পরও সেখানে মান্নত করতে নিষেধ করা হয়েছে।
৭। জাহেলী যুগের কোন উৎসব বা মেলা কোন স্থানে অনুষ্ঠিত হয়ে
থাকলে, তা বন্ধ করার পরও সেখানে মান্নত করা নিষিদ্ধ।
৮। এসব স্থানের মান্নত পূরণ করা জায়েজ নয়। কেননা এটা অপরাধমূলক কাজের মান্নত।
৯। মুশরিকদের উৎসব বা মেলার সাথে কোন কাজ সাদৃশ্যপূর্ণ ও সামঞ্জস্যশীল হওয়ার ব্যাপারে খুব সাবধান থাকতে হবে।
১০। পাপের কাজে কোন মান্নত করা যাবে না।
১১। যে বিষয়ের উপর আদম সন্তানের কোন হাত নেই সে বিষয়ে মান্নত পূরা করা যাবে না।