এই দিনে সুন্দর পোষাক ও বেশ-ভুষায় সজ্জিত হয়ে উত্তম খোশবু মেখে ঈদগাহে যাওয়া সুন্নত। যেহেতু এই দিন সৌন্দর্য ও সাজ-সজ্জার দিন। যেমন ঈদের জন্য গোসল করা কিছু সলফ, সাহাবা ও তাবেঈন কর্তৃক শুদ্ধভাবে প্রমাণিত আছে।[1]
খুবই সকাল সকাল ঈদগাহে পৌঁছে ইমামের নিকটবর্তী স্থানে বসার চেষ্টা করবে মুসলিম। এতে নামাযের জন্য প্রতীক্ষার সওয়াব লাভ করবে।
ঈদগাহে যাবার পথে তকবীর পাঠ করবে। ইমাম বের হওয়া (নামাযে দাঁড়ানো) পর্যন্ত ঐ তকবীর পড়া সুন্নত। যুহরী বলেন, লোকেরা ঈদের সময় তকবীর পাঠ করত, যখন ঘর হতে বের হত তখন থেকে শুরু করে ঈদগাহ পর্যন্ত পথে এবং ইমাম বের হওয়া পর্যন্ত ঈদগাহে তকবীর পড়ত। ইমামকে (নামাযে দাঁড়াতে) দেখে সকলেই চুপ হয়ে যেত। পুনরায় ইমাম যখন (নামাযের) তকবীর পড়তেন তখন আবার সকলে তকবীর পড়ত।[2]
সকলেই এই তকবীর উচ্চস্বরে পাঠ করবে। তবে একই সঙ্গে সমস্বরে তকবীর পাঠ বৈধ নয়। উল্লেখ্য যে, ঈদুল ফিতরের চেয়ে ঈদুল আযহার তকবীর অধিকরূপে তাকীদপ্রাপ্ত।[3]
ঈদগাহে পাঁয়ে হেঁটে যাওয়াই সুন্নত। অবশ্য ঈদগাহ দূর হলে অথবা অন্য কোন ওজর ও অসুবিধার ক্ষেত্রে সওয়ার হয়েও যাওয়া চলে।[4]
ঈদুল আযহার দিন নামাযের পূর্বে কিছু না খাওয়া সুন্নত। আর ঈদুল ফিতরের দিন ইদগাহে বের হওয়ার পূর্বে কিছু খাওয়া সুন্নত।[5]
ইবনুল কাইয়েম বলেন, ‘তিনি ঈদুল আযহার দিন ঈদগাহ থেকে ফিরে এসে (কুরবানী করে) কুরবানীর (মাংস) খেতেন।’[6]
প্রকাশ থাকে যে, ঈদুল আযহার দিনে নামাযের পূর্বে না খাওয়ার নাম হাফ রোযা নয়। আর এই রোযার জন্য ফজরের পূর্বে সেহরী খাওয়াও বিধেয় নয়। পক্ষান্তরে জানা কথা যে, হাফ বলে কোন রোযা শরীয়তে নেই এবং ঈদের দিন রোযা রাখা হারাম।
[2] (ইবনে আবী শাইবাহ ২/১৬৫, ইরওয়াউল গলীল ৩/১২১)
[3] (মাজমূ ফাতাওয়া, ইবনে তাইমিয়্যাহ ২৪/২২১)
[4] (মুগনীঃ ৩/২৬২)
[5] (তিরমিযী ৩/৯৮, ইবনে মাজাহ ১/২৯২)
[6] (যাদুল মাআদ ১/৪৪১)