হজ্জ বিষয়ক প্রচলিত কিছু হাদীসে বলা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিদায় হজ্জের সময় হাজীদের সকল পাপের মার্জনার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। মহান আল্লাহ প্রথমে জানান যে বান্দার হক ছাড়া হাজীর সকল পাপ ক্ষমা করা হবে। বারংবার দোয়ার পর আল্লাহ জানান যে, হাজীর সকল পাপ, এমনকি বান্দার হক্ক বিষয়ক পাপও ক্ষমা করা হবে ...।
এ মর্মে একাধিক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। প্রত্যেকটি হাদীসের সনদই অত্যন্ত দুর্বল। প্রত্যেক সনদেই মিথ্যাবাদী অথবা অত্যন্ত দুর্বল রাবী অথবা অজ্ঞাতনামা ও অজ্ঞাত পরিচয় রাবী রয়েছে। কোনো কোনো মুহাদ্দিস একাধিক সনদের কারণে সেগুলোকে ‘দুর্বল’ হলেও সরাসরি ‘জাল’ নয় বলে মত প্রকাশ করেছেন। পক্ষান্তরে কোনো কোনো মুহাদ্দিস এ অর্থের সকল হাদীসই জাল ও ভিত্তিহীন বলে গণ্য করেছেন। কারণ প্রত্যেক সনদেই মিথ্যাবাদী বা পরিত্যক্ত রাবী রয়েছে। এছাড়া তা বিভিন্ন সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত সত্যের বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে। বিভিন্ন সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে, হক্কুল ইবাদ বা বান্দার অধিকার বা প্রাপ্য সংশ্লিষ্ট বান্দা ক্ষমা না করলে আল্লাহ ক্ষমা করেন না। এমনকি জিহাদ ও শাহাদতের দ্বারাও তার ক্ষমা হয় না।[1]