১ম হাদীস:
مَنْ زَارَ قَبْرِيْ وَجَبَتْ لَهُ شَفَاعَتِيْ
‘‘যে আমার কবর যিয়ারত করবে, আমার শাফা‘আত তার প্রাপ্য হবে।’’
হাদীসটি ইবনু খুযাইমা, বায্যার, দারাকুতনী, বাইহাকী প্রমুখ মুহাদ্দিস সংকলন করেছেন। হাদীসটির ২টি সনদ রয়েছে:
১ম সনদ: বায্যার বলেন, আমাকে কুতাইবা বলেছেন, আমাকে আব্দুল্লাহ ইবনু ইবরাহীম বলেছেন, আমাকে আব্দুর রাহমান ইবনু যাইদ ইবনু আসলাম বলেছেন, তার পিতা থেকে, ইবনু উমার থেকে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন..।[1]
আমরা অন্যত্র ‘আব্দুর রাহমান ইবনু যাইদ ইবনু আসলাম’ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমরা দেখেছি যে, মুহাদ্দিসগণ তাকে অত্যন্ত দুর্বল বলে উল্লেখ করেছেন। কেউ কেউ তাকে মিথ্যা হাদীস বর্ণনাকারী বলে উল্লেখ করেছেন। এ সনদে তার ছাত্র ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ইবরাহীম’ নামক এ ব্যক্তিও অত্যন্ত দুর্বল। তিনি আব্দুর রাহমান ইবনু যাইদ ও অন্যান্য অনেক মুহাদ্দিসের নামে এমন অনেক হাদীস বর্ণনা করেছেন, যেগুলো সে সকল মুহাদ্দিসের অন্য কোনো ছা্ত্র বর্ণনা করেন না বা অন্য কোনো সূত্রে পাওয়া যায় না। মুহাদ্দিসগণ একমত যে, তিনি অত্যন্ত দুর্বল ও পরিত্যক্ত রাবী। ইবনু হিববান তাকে হাদীস জালিয়াতকারী বলে উল্লেখ করেছেন।[2]
আমরা দেখেছি যে, আব্দুর রাহমান বর্ণিত হাদীসই অত্যন্ত দুর্বল বা জাল বলে গণ্য। এ সনদে তার ছাত্রের অবস্থা তাঁর চেয়েও খারাপ।
দ্বিতীয় সনদ: ইমাম দারাকুতনী বলেন, আমাদেরকে কাযী মুহামিলী বলেন, আমাদেরকে উবাইদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ আল-ওয়ার্রাক বলেছেন, আমাদেরকে মূসা ইবনু হিলাল বলেছেন, আমাদেরকে আব্দুল্লাহ্ (অথবা উবাইদুল্লাহ) ইবনু উমার আল-উমারী বলেছেন, তিনি নাফি’ থেকে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু উমার থেকে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন ...।’’[3]
ইমাম বাইহাকীও একই সনদে মূসা ইবনু হিলাল থেকে, আব্দুল্লাহ ইবনু উমার আল-উমারী থেকে নাফি’ থেকে আব্দুল্লাহ ইবনু উমার থেকে এই হাদীসটি সংকলিত করেছেন। হাদীসটি উদ্ধৃত করে বাইহাকী বলেন: হাদীসটি নাফি’ থেকে ইবনু উমার থেকে একটি মুনকার বা অত্যন্ত আপত্তিকর হাদীস। এ ব্যক্তি (মূসা ইবনু হিলাল) ছাড়া অন্য কেউ এ হাদীসটি বর্ণনা করে নি।’’[4]
ইমাম ইবনু খুযাইমাও একই সনদে হাদীসটি সংকলন করেছেন এবং বলেছেন, ‘হাদীসটির সনদের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে।... হাদীসটি মুনকার, অর্থাৎ আপত্তিকর বা অত্যন্ত দুর্বল।’[5]
এ সনদেও দুজন বর্ণনাকারী দুর্বল। মূসা ইবনু হিলাল নামক একজন অজ্ঞাত পরিচয় বা স্বল্প পরিচিত রাবী। আবূ হাতিম রাযী তাকে অজ্ঞাত পরিচয় বলেছেন। ইবনু আদী বলেছেন, আশা করি তার হাদীস মোটামুটি গ্রহণযোগ্য। যাহাবী বলেন, এ ব্যক্তির হাদীস মোটামুটি গ্রহণযোগ্য। ... তার বর্ণিত হাদীসগুলোর মধ্যে সবেচেয়ে আপত্তিকর বা দুর্বল হলো এ হাদীসটি।[6]
মূসা নামক এ রাবীর উস্তাদ আব্দুল্লাহ ইবনু উমার ইবনু হাফস আল-উমারী (১৭১ হি) দ্বিতীয় শতকের একজন তাবি-তাবিয়ী। তিনি হাদীস বর্ণনায় দুর্বল হলেও পরিত্যক্ত ছিলেন না। ইয়াহইয়া ইবনু মায়ীন তাকে দুর্বল বা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন। আহমাদ ইবনু হাম্বাল, ইবনু আদী, যাহাবী প্রমুখ মুহাদ্দিস তাকে মোটামুটি গ্রহণযোগ্য বলেছেন। নাসাঈ ও অন্য কেউ কেউ তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার আসকালানী সকল মতামতের সমন্বয় করে বলেন ‘‘তিনি দুর্বল রাবী। ইমাম মুসলিম তার বর্ণনাকে সহায়ক বর্ণনা হিসাবে উল্লেখ করেছেন। তিরমিযী, নাসাঈ, আবু দায়ূদ ও ইবনু মাজাহ তার বর্ণনা গ্রহণ করেছেন।’’[7]
কোনো কোনো বর্ণনায় মূসা ইবনু হিলাল তার উস্তাদ হিসাবে ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু উমারের’ নাম উল্লেখ করেছেন। ‘উবাইদুল্লাহ’ নির্ভরযোগ্য রাবী। তবে ইবনু খুযাইমা, বাইহাকী, যাহাবী প্রমুখ মুহাদ্দিস বলেছেন, এখানে ‘উবাইদুল্লাহর উল্লেখ ভুল। হাদীসটি আব্দুল্লাহর বর্ণনা।[8]
সর্বাবস্থায় এ সনদটি দুর্বল হলেও এতে কোনো মিথ্যাবাদি বা মিথ্যা বর্ণনার অভিযোগে অভিযুক্ত বা পরিত্যক্ত রাবী নেই।
২য় হাদীস:
مَنْ زَارَ قَبْرِيْ أَوْ قَالَ مَنْ زَارَنِيْ كُنْتُ لَهُ شَفِيْعاً أَوْ شَهِيْداً
‘‘যে ব্যক্তি আমার কবর যিয়ারত করবে, অথবা তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আমার যিয়ারত করবে, কেয়ামতের দিন আমি তার জন্য শাফা‘আত-কারী অথবা সাক্ষ্যদানকারী হব।’’
হাদীসটি আবূ দায়ূদ তায়ালিসী ও বাইহাকী সংকলন করেছেন। তাঁরা সিওয়ার ইবনু মাইমূন নামক এক ব্যক্তির সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এ সিওয়ার ইবনু মাইমূন বলেন, তাকে উমার ইবনুল খাত্তাবের বংশের একব্যক্তি বলেছেন, উমার থেকে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন ...।[9]
এ হাদীসের রাবী সিওয়ার ইবনু মাইমূন অজ্ঞাত পরিচয় বর্ণনাকারী। রিজাল শাস্ত্রের কোনো গ্রন্থে তার উল্লেখ পাওয়া যায় না। তার উসতাদ ‘উমারের বংশের এক ব্যক্তি’ সম্পূর্ণ পরিচয়হীন। এজন্য ইমাম বাইহাকী হাদীসটি উদ্ধৃত করে বলেন (هذا إسناد مجهول) ‘‘এ সনদটি অজ্ঞাত’’।[10]
৩য় হাদীস:
مَنْ زَارَنِيْ مُتَعَمِّداً كَانَ فِيْ جِوَارِيْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
‘‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাপূর্বক আমার যিয়ারত করবে; কিয়ামতের দিন সে আমার প্রতিবেশী হয়ে বা আমার আশ্রয়ে থাকবে।’’[11]
হাদীসটি বাইহাকী, যাহাবী, ইবনু হাজার প্রমুখ মুহাদ্দিস উদ্ধৃত করেছেন। তারা হাদীসটি ৩য় শতকের মুহাদ্দিস আব্দুল মালিক ইবনু ইবরাহীম আল-জুদ্দী (২০৫ হি)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আব্দুল মালিক বলেন, আমাদেরকে শু’বা ইবনুল হাজ্জাজ (১৬২ হি) বলেছেন, সিওয়ার ইবনু মাইমূন থেকে, তিনি বলেন, আমাদেরকে হারূন ইবনু কুযা‘আহ বলেছেন, খাত্তাবের বংশের জনৈক ব্যক্তি থেকে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে, তিনি বলেছেন...।
এ হাদীসটির সনদ পূর্বের হাদীসের চেয়েও দুর্বল। উপরের সনদের দুইটি দুর্বলতা ছাড়াও এ সনদে আরো দুটি দুর্বলতা রয়েছে। প্রথম, এ সনদে সিওয়ার-এর উস্তাদ হারূন আবূ কুযা‘আহর সঠিক পরিচয় জানা যায় না। একে হারূন আবূ কুযা‘আহ বা হারূন ইবনু কুযা‘আহ বলা হয়। তার সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেন, এ ব্যক্তির হাদীস ভিত্তিহীন, অন্য কেউ তা বলে না। আযদী বলেন, এ ব্যক্তি পরিত্যক্ত।[12] দ্বিতীয়, এ সনদে সাহাবীর নাম উল্লেখ করা হয় নি, ফলে সনদটি মুরসাল বা বিচ্ছিন্ন।
৪র্থ হাদীস:
مَنْ جَاءَنِيْ زَائِراً لاَ تُعْمِلُهُ حَاجَةٌ إِلاَّ زِيَارَتِيْ كَانَ حَقًّا عَلَيَّ أَنْ أَكُوْنَ لَهُ شَفِيْعاً يَوْمَ الْقِيَامَةِ
‘‘যে ব্যক্তি আমার কাছে যিয়ারতকারী হিসাবে আগমন করবে, আমার যিয়ারত ছাড়া অন্য কোনো প্রয়োজন তাকে ধাবিত করবে না, তার জন্য আমার দায়িত্ব হবে যে, আমি কিয়ামতের দিন তার জন্য শাফা‘আত করব।’’
হাদীসটি, দারাকুতনী, তাবারানী, যাহাবী প্রমুখ মুহাদ্দিস সংকলন করেছেন। তাঁরা তাঁদের সনদে আব্দুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ আল-আববাদীর সূত্রে বলেন, তিনি বলেছেন, আমাদেরকে মুসলিম (মাসলামা) ইবনু সালিম আল-জুহানী বলেছেন, আমাকে আব্দুল্লাহ (অথবা উবাইদুল্লাহ) ইবনু উমার বলেছেন, তিনি নাফি থেকে, তিনি সালিম থেকে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু উমার থেকে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন ....’’[13]
এ হাদীসের বর্ণনাকারী মুসলিম ইবনু সালিম আল-জুহানী দুর্বল ও অনির্ভরযোগ্য রাবী ছিলেন। কেউ কেউ তার নাম ‘মাসলামা’ বলে উল্লেখ করেছেন। আবূ দায়ূদ সিজিসতানী বলেন, এ লোকটি ‘সিকাহ’ বা বিশ্বস্ত নয়। ইমাম হাইসামী বলেন, এ ব্যক্তি দুর্বল।’’[14]
৫ম হাদীস:
مَنْ زَارَنِيْ بِالْمَدِيْنَةِ مُحْتَسِباً كُنْتُ لَهُ شَهِيْداً وَشَفِيْعاً يَوْمَ الْقِيَامَةِ
‘‘যে ব্যক্তি সাওয়াবের উদ্দেশ্যে মদীনায় আমার সাথে সাক্ষাত করবে, কেয়ামতের দিন আমি তার সাক্ষী এবং শাফায়তকারী হব।’’
হাদীসটি ইবনু আবি দুনিয়া, বাইহাকী প্রমুখ মুহাদ্দিস সংকলন করেছেন। তারা একাধিক সনদে মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল ইবনু আবী ফুদাইক-এর সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমাদেরকে আবুল মুসান্না সুলাইমান ইবনু ইয়াযিদ আল-কা’বী বলেছেন, আনাস ইবনু মালিক (রা) থেকে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন ....।’’[15]
এ সনদে আবুল মুসান্না সুলাইমান ইবনু ইয়াযিদ নামক এ রাবীকে মুহাদ্দিসগণ দুর্বল বলেছেন। আবূ হাতিম রাযী বলেন, লোকটি শক্তিশালী ছিলেন না, আপত্তিকর হাদীস বর্ণনা করতেন। দারাকুতনীও তাকে দুর্বল বলেছেন। তবে ইবনু হিববান তাকে ‘সিকাহ’ বা বিশ্বস্ত রাবীদের তালিকাভুক্ত করছেন। ইমাম তিরমিযীও তাকে গ্রহণযোগ্য বলে গণ্য করেছেন। মুহাদ্দিসগণের মতামতের সমন্বয় করে ইবনু হাজার তাকে দুর্বল বলে উল্লেখ করেছেন। এখানে লক্ষণীয় যে, আবুল মুসান্না তাবিয়ী ছিলেন না, তাবি-তাবিয়ী ছিলেন। ইবনু হিববান, ইবনু হাজার প্রমুখ মুহাদ্দিস উল্লেখ করেছেন যে, তিনি কোনো সাহাবী থেকে হাদীস শিক্ষা করেন নি। বরং তাবিয়ীগণ থেকে হাদীস শুনেছেন। এজন্য হাদীসটির সনদ বিচ্ছিন্ন বা মুনকাতি’।[16]
৬ষ্ঠ হাদীস:
رَحِمَ اللهُ مَنْ زَارَنِيْ وَزِمَامُ نَاقَتِهِ بِيَدِهِ
‘‘আল্লাহ রহমত করুন সে ব্যক্তিকে, যে তার উটের রশি তার হাতে নিয়ে আমার যিয়ারত করেছে।’’
এ বাক্যটির বিষয়ে ইবনু হাজার আসকালানী, সাখাবী, সুয়ূতী, ইবনু আর্রাক, মোল্লা আলী কারী, শাওকানী, দরবেশ হূত প্রমুখ মুহাদ্দিস বলেছেন যে, বাক্যটি ভিত্তিহীন বানোয়াট।[17]
উপরের ৬টি হাদীসের মধ্যে ৬ষ্ঠ হাদীস সর্বসম্মতিক্রমে ভিত্তিহীন বানোয়াট বাক্য। বাকী পাঁচটি হাদীস থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যিয়ারত করা বা তাঁর সাথে সাক্ষাত করার ফযীলত অবগত হওয়া যায়। প্রথম হাদীসে ‘কবর’ যিয়ারতের কথা স্পষ্ট বলা হয়েছে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে যিয়ারত করার কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় হাদীসে উভয়ের যে কোনো একটি কথা বলা হয়েছে। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ইন্তিকালের পরে তার পবিত্র কবর যিয়ারতও তাঁরই যিয়ারত বলে গণ্য হতে পারে।
আমরা দেখছি যে, এ অর্থের হাদীসগুলোর সবগুলোর সনদই দুর্বল। ইবনু তাইমিয়া, ইবনু আব্দুল হাদী প্রমুখ মুহাদ্দিস এ অর্থের হাদীসগুলোকে একেবারেই ভিত্তিহীন বলে গণ্য করেছেন। আলবানী একে যয়ীফ বা দুর্বল বলে উল্লেখ করেছেন।[18] তবে আমরা দেখতে পাই যে, প্রথম হাদীসের দ্বিতীয় সনদ, ৪র্থ হাদীস এবং ৫ম হাদীসের সনদে কোনো মিথ্যাবাদী বা একেবারে ‘মাজহূল’ বা অজ্ঞাতনামা কেউ নেই। কাজেই এই সনদগুলো পরস্পরের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং একাধিক সনদের কারণে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে।
[2] ইবনু আদী, আল-কামিল ৪/১৯০-১৯১; যাহাবী, মীযানুল ই’তিদাল ৪/৫৫-৫৬; ইবনু হাজার, তাকরীবুত তাহযীব, পৃ. ২৯৫।
[3] দারাকুতনী, আস-সুনান ২/২৭৮।
[4] বাইহাকী, শু‘আবুল ঈমান ৩/৪৯০।
[5] যাহাবী, মীযানুল ই’তিদাল ৬/৫৬৬-৫৬৭; ইবনু হাজার, তালখীসুল হাবীর ২/২৬৬-২৬৭; আজলূনী, কাশফুল খাফা ২/৩২৮-৩২৯; আলবানী, ইরওয়াউল গালীল ৪/৩৩৮।
[6] উকাইলী, আদ-দু‘আফা ৪/১৭০; ইবনু আদী, আল-কামিল ৬/৩৫১; যাহাবী, মীযানুল ই’তিদাল ৬/৫৬৬-৫৬৭।
[7] ইবনু আদী, আল-কামিল ৪/১৪১; যাহাবী, আল-মুগনী ১/৩৪৮-৩৪৯; মীযানুল ইতিদাল ৪/১৫১-১৫৩; ইবনু হাজার, তাকরীব, পৃ. ৩১৪।
[8] দারাকুতনী, আস-সুনান ২/২৭৮; বাইহাকী, শু‘আবুল ঈমান ৩/৪৯০; ইবনু হাজার, তালখীসুল হাবীর ২/২৬৬-২৬৭।
[9] তাইয়ালীসী, আল-মুসনাদ ১/১২; বাইহাকী, শু‘আবুল ঈমান ৩/৪৮৮-৪৮৯; আস-সুনানুল কুবরা ৫/২৪৫।
[10] বাইহাকী, আস-সুনানুল কুবরা ৫/২৪৫।
[11] বাইহাকী, শু‘আবুল ঈমান ৪/৪৮৮; যাহাবী, মীযানুল ই’তিদাল ৭/৬৩; ইবনু হাজার, লিসানুল মীযান ৬/১৮০।
[12] ইবনু আদী, আল-কামিল ৭/১২৮; ইবনুল জাওযী, আদ-দু‘আফা ওয়াল মাতরূকীন ৩/১৬৯; যাহাবী, মীযানুল ই’তিদাল ৭/৬৩, ৬৭; ইবনু হাজার, লিসানুল মীযান ৬/১৮০, ১৮৩।
[13] তাবারানী, আল-মু’জামুল কাবীর ১২/২৯১।
[14] যাহাবী, মীযানুল ই’তিদাল ৬/৪১৫; হাইসামী, মাজমাউয যাওয়াইদ ৪/২; ইবনু হাজার, লিসানুল মীযান ৬/২৯।
[15] হামযা ইবনু ইউসূফ, তারীখু জুরজান ১/২২০; বাইহাকী, শু‘আবুল ঈমান ৩/৪৮৯-৪৯০; ইবনু হাজার, তালখীসুল হাবীর ২/২৬৭; শাওকানী, নাইলুল আউতার ৫/১৭৯।
[16] ইবনু হিববান আস-সিকাত ৬/৩৯৫; যাহাবী, মীযানুল ই’তিদাল ৩/৩২১; ইবনু হাজার, লিসানুল মীযান ৭/৪৮১; ইবনু হাজার, তাহযীবুত তাহযীব ১২/২৪২; তাকরীব, পৃ. ৬৭০; তালখীসুল হাবীর ২/২৬৬-২৬৭; শাওকানী, নাইলুল আউতার ৫/১৭৯; আলবানী, যায়ীফুল জামি, পৃ. ৮০৮।
[17] ইবনু আর্রাক, তানযীহ ২/১৭৬; সাখাবী, মাকাসিদ, পৃ. ২৩৫; মোল্লা কারী, আসরার, পৃ. ১২৮; মাসনূ, পৃ. ৭৪; শাওকানী, আল-ফাওয়াইদ ১/১৫৩; দরবেশ হূত, আসনাল মাতালিব, পৃ. ১১৪।
[18] ইবনু আব্দুল হাদী, আস-সারিম আল-মানকী পৃ. ২৯-২৪৬; আলবানী, ইরওয়াউল গালীল ৪/৩৩৩-৩৩৫।