আমাদের দেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ বুযুর্গ খাজা মঈন উদ্দীন চিশতী (৬৩৩ হি), কুতুব উদ্দীন বখতিয়ার কা’কী (৬৫৩ হি), ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ গঞ্জে শক্কর (৬৬৩ হি) ও নিযাম উদ্দীন আউলিয়া (৭২৫ হি), রাহিমাহুমুল্লাহ। এদের নামেই চিশতিয়া তরীকা প্রচলিত। এছাড়া এদের নামে অনেক কথা, কর্ম ও বই-পুস্তকও প্রচলিত। এগুলোর মধ্যে এমন অনেক কথা রয়েছে যা সুস্পষ্টতই মিথ্যা ও বানোয়াট। এখানে চিশতিয়া তরীকা ও এঁদের নামে প্রচলিত দুএকটি বইয়ের বিষয়ে আলোচনা করব।
বিভিন্ন দরবারের চিশতীয় তরীকার আমল-ওযীফার মধ্যে অনেক পার্থক্য দেখা যায়। উপর্যুক্ত বুযুর্গগণের নামে প্রচলিত পুস্তকাদিতে এ সকল ‘তরীকা’ বা পদ্ধতির কিছুই দেখা যায় না। আবার এ সকল পুস্তকে যে সকল যিকর-ওযীফার বিবরণ রয়েছে সেগুলোও প্রচলিত চিশতিয়া তরীকার মধ্যে নেই। চিশতিয়া তরীকার ক্ষেত্রেও শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভীর বিবরণের সাথে সাইয়েদ আহমাদ ব্রেলবীর বিবরণের পার্থক্য দেখা যায়। আবার তাঁদের দুইজনের শেখানো পদ্ধতির সাথে বর্তমানে আমাদের দেশে প্রচলিত চিশতিয়া তরীকার ওযীফা ও আশগালের অনেক পার্থক্য দেখা যায়। এগুলোর কোন্টি ‘অরিজিনাল’ ও কোনটি ‘বানোয়াট’ তা জানার কোনো উপায় নেই।