পূর্ব দিককার (প্রাচ্যের) দেশগুলিতে চাঁদ ১ অথবা ২ দিন পরে দেখা দেয়। এখন ২৯শে রমাযান চাঁদ দেখার পর অথবা ৩০শে রমাযান ঐ দিককার কোন দেশে সফর করলে সেখানে গিয়ে দেখবে তার পরের দিনও রোযা। সে ক্ষেত্রে তাকে ঐ দেশের মুসলিমদের সাথে রোযা রাখতে হবে। অতঃপর তারা ঈদ করলে তাদের সাথে সেও ঈদ করবে; যদিও তার রোযা ৩১টি হয়ে যায়। কারণ, মহান আল্লাহ বলেন,

(فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ)

অর্থাৎ, অতএব তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ মাস পাবে সে যেন এ মাসে রোযা রাখে। (কুরআনুল কারীম ২/১৮৫)

আর মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘রোযা সেদিন, যেদিন লোকেরা রোযা রাখে। ঈদ সেদিন, যেদিন লোকেরা ঈদ করে।’’[1]

কিন্তু যদি কেউ পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে ২৮শে রমাযান সফর করে, অতঃপর তার পর দিনই সেখানে ঈদ হয়, তাহলে সেও রোযা ভেঙ্গে লোকদের সাথে ঈদ করবে। অবশ্য তার পরে সে একটি রোযা কাযা রাখবে। কারণ, মাস ২৯ দিনের কম হয় না। পক্ষান্তরে যদি ২৯শে রমাযান সফর করে তার পরের দিন ঈদ হয়, তাহলে তাদের সাথে ঈদ করার পর তাকে আর কোন রোযা কাযা করতে হবে না। কারণ, তার ২৯টি রোযা হয়ে গেছে এবং মাস ২৯ দিনেও হয়।[2]

পরন্তু যদি কেউ ঈদের দিনে ঈদ করে প্রাচ্যের দেশে সফর করে এবং সেখানে গিয়ে দেখে সেখানকার লোকেদের রোযা চলছে, তাহলে সে ক্ষেত্রে তাকে পানাহার বন্ধ করতে হবে না এবং রোযা কাযা করতেও হবে না। কেননা, সে শরয়ী নিয়ম মতে রোযা ভেঙ্গেছে। অতএব এ দিন তার জন্য পানাহার বৈধ হওয়ার দিন।[3]

[1] (তিরমিযী, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৯০৫, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ২২৪নং)

[2] (ইবনে বায, ফাসিঃ মুসনিদ ১৬পৃঃ)

[3] (আআসাঈঃ ২৮পৃঃ)