নাবী (ﷺ) মুআয বিন জাবাল (রাঃ) কে ইয়ামানে পাঠানোর সময় আদেশ করলেন যে, প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক লোক থেকে এক দ্বীনার অথবা তার সমমূল্যের ইয়ামানী চাদর গ্রহণ করবেন। অতঃপর উমার (রাঃ) উহার পরিমাণ বাড়িয়ে স্বর্ণের মালিকদের চার দ্বীনার এবং রৌপ্যের অধিকারীদের উপর চল্লিশ দিরহাম বাৎসরিক কর ধার্য্য করেন। এই পার্থক্যের কারণ হল, রসূল (ﷺ) ইয়ামান বাসীদের অভাবের কথা জানতেন। তাই তিনি কম নির্ধারণ করেছিলেন। আর উমার (রাঃ) সিরিয়ার ধণাঢ্য লোকদের সম্পর্কে অবগত ছিলেন।
সহীহ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, নাবী (ﷺ) চুক্তির অবসানের ঘোষণা না দিয়েই কিংবা এ সম্পর্কে না জানিয়েই কুরাইশদের সাথে যুদ্ধ করেছেন। কেননা তারা নিজেরাই অঙ্গিকার করে তাদের বন্ধু গোত্রের সাথে যোগ দিয়ে রসূল (ﷺ)-এর বন্ধু গোত্রের উপর হামলা করেছিল এবং তাদের উপর জুলুম করেছিল। কুরাইশরা এতে খুশী হয়েছিল। এই অবস্থায় রসূল (ﷺ)-এর শত্রুদেরকে সাহায্য করার কারণে কুরাইশদেরকে যুদ্ধকারী ভেবে তাদের সাথে কৃত চুক্তি ভঙ্গ করেছেন এবং যুদ্ধ করে তাদেরকে পরাজিত করেছেন।