সহীহ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি দাঁড়িয়ে পান করতে নিষেধ করেছেন। সহীহ সূত্রে আরও বর্ণিত হয়েছে যে, দাঁড়িয়ে পানকারী একজন লোককে বমি করার হুকুম দিয়েছেন। তবে সহীহ সূত্রে এও বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি দাড়িয়ে পান করেছেন। এ জন্যই কোন কোন আলেম বলেন- দাঁড়িয়ে পান করার নিষিদ্ধতা রহিত হয়ে গেছে। আরও বলা হয় যে, নিষিদ্ধতা দ্বারা দাঁড়িয়ে পান করা হারাম বুঝা যায়নি (বরং তা ভদ্রতার খেলাফ)। আরও বলা হয়েছে যে, তিনি প্রয়োজন বশতঃ দাঁড়িয়ে পান করেছিলেন।
পান করার সময় নাবী (ﷺ) তিনবার শ্বাস গ্রহণ করতেন। আর তিনি বলতেন- এই পদ্ধতি হচ্ছে অধিক তৃপ্তিদায়ক, অধিক পিপাসা নিবারক এবং অধিক স্বাচ্ছন্দপূর্ণ।
তিরমিযী শরীফে বর্ণিত হয়েছে, নাবী (ﷺ) বলেন- ‘‘তোমরা উটের ন্যায় এক নিঃশ্বাসে পানি পান করোনা; বরং তোমরা দুই বা তিন নিঃশ্বাসে পান কর। আর যখন তোমরা পান করবে, তখন বিস্মিল্লাহ্ বলে পান করবে এবং পান করা শেষে আলহামদুলিস্নাহ্ বলবে’’। নাবী (ﷺ) পাত্র ঢেকে রাখার আদেশ দিয়েছেন। সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন-
غَطُّوا الإِنَاءَ وَأَوْكُوا السِّقَاءَ فَإِنَّ فِى السَّنَةِ لَيْلَةً يَنْزِلُ فِيهَا وَبَاءٌ لاَ يَمُرُّ بِإِنَاءٍ لَيْسَ عَلَيْهِ غِطَاءٌ أَوْ سِقَاءٍ لَيْسَ عَلَيْهِ وِكَاءٌ إِلاَّ نَزَلَ فِيهِ مِنْ ذَلِكَ الْوَبَاءِ
‘‘তোমরা পাত্র ঢেকে রাখো এবং পান পাত্রের মুখ বন্ধ করে রাখো। কেননা বছরে এমন একটি রাত রয়েছে, যাতে বিভিন্ন প্রকার রেসূ ও মহামারি অবতরণ করে। সেই রেসূ বা মহামারি যখনই কোন ঢাকনা বিহীন পাত্রের কাছ দিয়ে অতিক্রম করে, তখনই তাতে পতিত হয়।[1]
এই হাদীছের অন্যতম রাবী লাইছ বিন সা’দ (রহঃ) বলেন- আমাদের সমাজে বসবাসকারী অনারব লোকেরা বছরের একটি রাতে সাবধানতা অবলম্বন করে থাকে। সেটি হচ্ছে ডিসেম্বর মাসের একটি রাত। সহী সূত্রে আরও বর্ণিত হয়েছে, নাবী (ﷺ) পাত্রের মুখ ঢেকে রাখার আদেশ করেছেন। এমনকি এক খন্ড কাঠ দিয়ে হলেও।
সহীহ সূত্রে আরও বর্ণিত হয়েছে, নাবী (ﷺ) পাত্র ঢাকা বা পাত্রের মুখ বন্ধ করার সময় বিস্মিল্লাহ্ বলার (আল্লাহর নাম উচ্চারণ করার) আদেশ দিয়েছেন। তিনি কলসীতে-ড্রামে (বড় পান পাত্রে) সরসূরি মুখ লাগিয়ে পান করতে নিষেধ করেছেন। পাত্রে শ্বাস ফেলতে এবং তাতে ফুঁ দিতে এবং ভাঙ্গা পান পাত্রে এবং ছিদ্র বিশিষ্ট পাত্রের ছিদ্র হতে পান করতেও তিনি নিষেধ করেছেন।